Daily
প্রথাগত ধান, গম, পাট চাষে লাভবান হয়েছেন এমন উদাহরণের সংখ্যা ভুঁড়ি ভুঁড়ি। কিন্তু প্রথা ভেঙে চাষ করা এবং সেই চাষে লাভের মুখ দেখা, এমন পরিস্থিতি বিরল। এমনই এক প্রথাগত চাষে লাভবান কৃষক হলেন, নদীয়ার হরিণঘাটার অরিন্দম বাবু।
হরিণঘাটা কলেজে সেকেন্ড ইয়ারের পরীক্ষা দেওয়ার পর পরই চাষের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। মাঠে নেমে পড়েন ভিক্টোরিয়া আর বটলব্রাশের মত বাহারি পাতা চাষ করতে। এই ধরণের বাহারি পাতার ডিম্যান্ড আসলে বাজারে অনেক বেশি। বিশেষত উৎসবে-পার্বণে। প্রথাগত চাষের থেকে পুঁজি সামান্য বেশি লাগলেও, লাভের অঙ্কটা থাকে অনেক গুণ বেশি। আর মেইন্টেনেন্স খরচও খুব বেশি নয়।
এক বিঘা জমিতে প্রায় ৪ হাজার চারা বসাতে পারেন অরিন্দম বাবু। গাছের ক্ষেত্রে অরিন্দম বাবু মূলত জৈব সারটাই ব্যবহার করেন। তাতে গাছের বৃদ্ধি হয়েছে অনেকটাই বেশি। গোটা বছরে এক একটা গাছ থেকে প্রায় ৬০ থেকে ৮০ টা মত পাতা কাটতে পারেন তিনি। আর এবছর বাজারে এই বাহারি পাতার ডিম্যান্ড এতটাই বেশি ছিল যে জোগান দিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারেননি অরিন্দম বাবু।
মূলত ডেকোরেশনের কাজে লাগে এই ধরণের বাহারি পাতা। কাজেই অনুষ্ঠানের সিজনে এর বিক্রি সবথেকে বেশি। গত দু’বছর অতিমারির কারণে উৎসবে- পার্বণে ভাটা পড়ায় বিক্রিও খানিক থমকে গেছিল। তবে এই বছরে ব্যপক লক্ষ্মীলাভ করেছেন অরিন্দম বাবু। আর এই চাষ যে সত্যিই লাভজনক, সে বিষয়ে কোন দ্বিধা নেই। কাজেই বিকল্প চাষের প্রতি অনীহা কাটিয়ে যদি এগিয়ে আসেন বাকি কৃষকেরাও, তাহলে হয়ত খুব শীঘ্রই বদলে যেতে পারে কৃষি অর্থনীতির মানচিত্রটা।