Agriculture news
কৃষি হোক বা শিল্প- এক্সপার্টদের জন্য দ্বার সর্বত্রই উন্মুক্ত। দিন দিন সেই চাহিদা আরও বাড়ছে। বিশেষত কৃষিক্ষেত্রে। কারণ, আপনাকে এটা বিশ্বাস করতেই হবে যে, আজও কৃষিই এই দেশের ভিত্তি। কৃষিকে এগোতে গেলে কৃষি শিক্ষার উন্নয়ন প্রয়োজন। তাই এক্সপার্টদের যত্ন নেওয়া এবং আগ্রহ বাড়ানো জরুরী। এই ইম্পরট্যান্ট বিষয়টা আগেই বুঝতে পেরেছে আইসিএআর। আর তাই এত তোড়জোড়। কীসের তোড়জোড়? ভালোকে আরও ভালো করে তোলা। আর সেই উদ্দেশ্যেই বিশ্বব্যাঙ্কের সঙ্গে হাত মেলায় আইসিএআর, নয়া দিল্লির শিক্ষা বিভাগ। কারণ এই উদ্দেশ্য সফল করতে গেলে শুধু নলেজ যথেষ্ট নয়। দেশের প্রতিটা প্রান্তে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থে অ্যারেঞ্জ করতে হবে সেমিনার। দিতে হবে ট্রেনিং। আর সেই সেমিনার বা ট্রেনিং করার ফিনান্সিয়াল সাপোর্ট দেবে ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক। কাজেই দুই সংস্থার সম্মতিতে পথ চলা শুরু করে নাহেপ, ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল হায়ার এডুকেশন প্রোজেক্ট।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট এবং পিএইচডি-র ছাত্র-ছাত্রীদের কোয়ালিটি এডুকেশন, কোয়ালিটি রিসার্চ, অত্যাধুনিক ট্রেনিং অর্থাৎ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছানোর প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলা এছাড়াও উন্নত প্রশিক্ষণ, কর্মশালা পরিচালনা করা, শিল্প গড়ার ক্ষেত্রে হাতে-কলমে দক্ষ করে তোলা, বিভিন্ন এন্টারপ্রেনারশিপের ব্যবসায়িক শ্রীবৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয় নাহেপ। এখন পর্যন্ত দেশের ৬২ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে নাহেপের তরফে চলছে বিভিন্নরকমের ট্রেনিং। যার মধ্যে অন্যতম নদীয়া জেলার মোহনপুরের ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ এনিমেল এন্ড ফিসারি সাইন্সেস (কলকাতা)-র ডেয়ারি টেকনোলজি বিভাগে। ২০১৯ সাল নাগাদ ৪৬৯ লক্ষ টাকার অর্থবরাদ্দ করে শুরু হয় এই প্রোজেক্ট, যা এই বছরই শেষ হতে চলেছে। তাই ডেয়ারি টেকনোলজি বিভাগে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হল নাহেপ অ্যানুয়াল টেকনিকাল রিভিউ মিটিং, ইনোভেশন গ্র্যান্ড প্রজেক্টস।
প্রোজেক্ট চালুর সময় থেকে চূড়ান্ত পর্যায়ে ইনোভেশন গ্র্যান্ডে কি কি কাজ করা হয়েছে তা নিয়ে এদিন মিটিং-এ খোলাম্লা আলোচনা করেন বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটাররা। প্রকল্পের মনিটরিং যারা করছেন তাদের সঙ্গও চলে বিস্তর আলোচনাপর্ব।
এই প্রকল্পে প্রশিক্ষণ পাওয়া তপন গড়াই উপকৃত হয়েছেন? শুনব তার মুখ থেকেই।
এদিনের এই মিটিং-এ উপস্থিত ছিলেন নাহেপের ন্যাশনাল ডাইরেক্টর, ডঃ আর সি আগরওয়াল , পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ তপন কুমার মন্ডল, ডঃ লোপামুদ্রা হালদার, নাহেপের প্রিন্সিপাল সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগটাররা।
সুব্রত সরকার
নদীয়া