মুকুটে আবারো নয়া পালক যোগ করল নদীয়ার বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের মধ্যে সেরা গবেষণাপত্রের শিরোপা পেলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চার কৃতি ছাত্রছাত্রী। একইসঙ্গে কৃষিবিজ্ঞান গবেষণায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য স্বর্ণপদক পেলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর বিকাশচন্দ্র সিংহ মহাপাত্র।

হায়দ্রাবাদে নভেম্বরের ২৩ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত দিল্লিতে আয়োজিত হয় ৫ম ইন্টারন্যাশনাল অ্যাগ্রনমি কংগ্রেস। দ্য ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ অ্যাগ্রনমি সেখানেই চার কৃষি গবেষকের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেয়। একইসঙ্গে সোনার পদক দিয়ে সম্মানিত করা হয় বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর বিকাশচন্দ্র সিংহ মহাপাত্রকে। বিশাল মুখার্জি, শিল্পী বেরা, শ্রীপ্রিয়া দাস এবং সুমন সামুই। এই চার কৃষি গবেষকই বর্তমানে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শস্যবিজ্ঞান বিভাগের পি এইচ ডি ছাত্রছাত্রী। বিশাল তাঁর স্নাতকোত্তর গবেষণা করেছেন হাইব্রীড ধানের সেচের সময়কাল নিয়ে। শিল্পী গবেষণা করেছেন বাংলার সুগন্ধি ধানের প্রজাতি রাধুনিপাগল নিয়ে। এরা দুজনেই শস্য বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় ঘোষের তত্ত্বাবধানে কাজ করেছেন এবং বর্তমানে শ্রীপ্রিয়া দাসও পি এইচ ডি করছেন এই শিক্ষকেরই তত্ত্বাবধানে। শ্রীপ্রিয়া তার স্নাতকোত্তর গবেষণা করেছেন বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি থেকে বেবী কর্নের ওপর। সুমন তার গবেষণার কাজ সম্পন্ন করেছেন কল্যাণী পৌরসভার পচনশীল আবর্জনা থেকে জৈব সার উৎপাদন করে তা কৃষি জমিতে প্রয়োগ করার মাধ্যমে।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতি ছাত্রছাত্রীরা দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য উচ্ছ্বসিত উপাচার্য নিজেই। তিনি চাইছেন এভাবেই নদীয়ার মোহনপুরের বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ঐতিহ্য মেনে দেশের মধ্যে কৃষিক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে যাক।

সেদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দ্য ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ অ্যাগ্রনমি নিউ দিল্লির সভাপতি ও প্রফেসর জয়শঙ্কর তেলেঙ্গানা, স্টেট এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. পি ভি প্রভীন রাও, ক্রপ সায়েন্স সোসাইটি অফ আমেরিকার সভাপতি ড. পি ভি ভারা প্রসাদ ছাড়াও দেশে বিদেশের আরো অনেক বিখ্যাত কৃষিবিজ্ঞানীরা। একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একইসঙ্গে চারটি সেরা গবেষণা পত্রের শিরোপা পাওয়ার ইতিহাস তেমন একটা নেই। স্বাভাবিকভাবেই এই স্বীকৃতির জন্য খুশির হাওয়া গোটা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।

রনি চ্যাটার্জী
নদীয়া