Daily
কৃষক প্রোডিউসার কোম্পানি লিমিটেড। ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর ২ নং ব্লকের কাকোর কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে যা বাংলার কৃষিজগতে আজ এক দৃষ্টান্তই বটে। নাবার্ডের ছত্রছায়ায় থেকে সঠিক পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ এবং সংঘবদ্ধতা যাকে পৌঁছে দিয়েছে উন্নতির শিখরে। কৃষি এবং টেকনোলজির সংযুক্তিকরণের মাধ্যমে এলাকার কৃষিভিত্তিক উন্নয়নের স্বার্থে কোম্পানিটি কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে।
ঝাড়গ্রাম এলাকার দুর্বল অর্থনীতিকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে স্বতন্ত্র এই ফার্মার্স কোম্পানিটি আজ গোটা বাংলার কাছে উদাহরণ। জেলার কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি এতদিন ছিল মূলত ধান চাষ নির্ভর। তবে, এই কোম্পানির একনিষ্ঠতায় আজ তা যুক্ত হয়েছে করলা, সূর্যমুখী সহ বিভিন্নমুখী ফসলের সাথে। ফলে লাভের অঙ্কটা বেড়েছে বিপুল পরিমাণে। শুনলে অবাক হতে পারেন, ঝাড়গ্রাম জেলার এই এফপিসিটির টার্ন ওভার বর্তমানে ৫০ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। সম্প্রতি ফার্মার্স কোম্পানিটির সাকসেস অনুষ্ঠানে এমনটাই বললেন নাবার্ডের এজিএম মিঃ জি কে রাও।
এখানেই থেমে নেই তারা। বর্তমানে তারা বীজ, কীটনাশক সহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণের প্রত্যক্ষ ডিলারশিপ নিয়েছে। যেখান থেকে কোম্পানির ৫১১ জন শেয়ার হোল্ডার ছাড়াও এলাকার সমস্ত কৃষকরা সঠিক সময়ে উন্নতমানের কৃষি উপকরণ পেয়ে থাকে। তাও একেবারে ন্যায্যমূল্যে। পাশাপাশি ঝাড়গ্রাম কাস্টমার হায়ারিং সেন্টার থেকে স্বল্প ভাড়ায় কৃষি ক্ষেত্রে যন্ত্রের ব্যবহার ঘটিয়ে উৎপাদন খরচ অনেকটাই কমাতে সাহায্য করেছে তারা। বর্তমানে চাষের উৎপাদন খরচ কমেছে প্রায় ২০-২৫ শতাংশ পর্যন্ত। আর মার্কেটিং সিস্টেমে সাপোর্ট পাওয়ায় বিঘের পর বিঘে জমি চাষ করে মোটা অঙ্কের লাভ ঘরে তুলছেন চাষিভাইরা।
কোম্পানির সাপোর্ট পেয়ে রীতিমত খুশি স্থানীয় কৃষক নবদ্বীপ প্রামাণিক।
কোম্পানির বিভিন্ন রকম স্কিল ডেভলপমেন্ট কর্মসূচী, কৃষকদের প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে আর্থিক সাহায্য – এই সমস্ত কিছুতে কোম্পানির পাশে রয়েছে নাবার্ড। এদিনের অনুষ্ঠানে গোটা ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে নাবার্ডের সহযোগিতায় কি কি প্রোজেক্ট ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে, সেগুলো নিয়েই কথা বললেন নাবার্ডের ডিডিএম মিঃ আকাশ শর্মা।
তাদের আগামির লক্ষ্য আরও অনেক বড়। আগামীতে আরও ৩০০০ জন কৃষককে কোম্পানির সাথে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নের জোয়ার আনতে এবং এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে বেশ কিছু ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও রয়েছে কোম্পানিটির।
সুব্রত সরকার
ঝাড়গ্রাম