Daily

লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। পাল্লা দিয়ে চড়ে আছে গ্যাস সিলিন্ডার। অতিমারিতে অর্থ সঞ্চয় দূরে থাকুক, সংসার চালাতেই নাজেহাল অবস্থা হচ্ছে সাধারণ মানুষের। তাই সুরাহা পেতে তীর্থের কাকের মতন আমআদমি তাকিয়ে রয়েছেন সিএনজি সরবরাহের দিকে। এবার সেই কাজই আরও দ্রুততার সঙ্গে সেরে ফেলার জন্য উঠেপড়ে লাগল নবান্ন।
উত্তরপ্রদেশের জগদীশপুর থেকে পশ্চিমবঙ্গে পাইপলাইনে প্রাকৃতিক গ্যাস জোগানের প্রকল্প নিয়েছে গেল। যে কাজটি আপাতত দুর্গাপুর পর্যন্ত এসে থমকে গিয়েছে। এবার রাজ্যের প্রস্তাবিত বাকি এলাকাগুলিতেও গ্যাস জোগানে যাতে কোন বাধা না তৈরি হয়, সেই কারণে কোমর বেঁধে মাঠে নামল রাজ্য। জেলা প্রশাসনের কাছে নবান্ন থেকে নির্দেশ এলো পরিবেশ গড়তে এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে জমি নেওয়ার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ারর জন্য।
সূত্রের খবর, মাটির ৪-৫ মিটার নিচ দিয়ে পাইপলাইন পাতার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার জন্য প্রয়োজন বেশ কিছু জমি। আর সেই জমি নিতে গেলে আগে কথা বলতে হবে জমির মালিকদের। পাইপলাইন পাতার জন্য গ্রাম এবং শহর দু’জায়গাতেই জমির প্রয়োজন রয়েছে। এই প্রকল্পের গুরুত্ব বুঝিয়ে তবেই রাজ্য চাইছে জমির মালিকের থেকে জমি নেওয়া হবে। কৃষিজমির ক্ষেত্রে এক বছরে ফসলের দাম এবং জমির ১০% দেওয়া হবে জমির মালিককে। সেক্ষেত্রে কৃষিজমির কি কোন ক্ষতি হবেনা? সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, পাইপলাইন মাটির অনেকটা ভিতর দিয়ে যাওয়ার কারণে কৃষিজমির ওপর কোন প্রভাব পড়বে না।
উল্লেখ্য, এই প্রকল্প ২০০৫ সালে বাস্তবায়নের স্বপ্ন দেখেছিলেন রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। আজ সেই স্বপ্নপূরণ করতেই উদ্যোগী হয়েছে মমতার সরকার। মনে করা হচ্ছে, ২০২২ সালে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে যাবে। আর সেটা হয়ে গেলে ২০২৪-এ তৃণমূলের কাজে বড় হাতিয়ার হয়ে উঠবে এই প্রকল্প।
ব্যুরো রিপোর্ট