Trending
জমি থেকে ধান কেটে রেখেছিলেন কৃষকরা। সেই ধান লুট করতে আসছে ডাকাত। স্বপ্নাদেশ পেয়ে স্থানীয় এক কৃষক দলবেঁধে ছুটে গেলেন এবং রক্ষা করলেন তাঁদের ফসল। কিন্তু পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ায় ক্ষোভে ডাকাতরা কেটে ফেলল কালীর নাক। সেই থেকেই পুরুলিয়া জেলার দেউলিয়া কালী নাককাটা কালী হিসেবে পরিচিতি পেল।
দেড়শো থেকে দুশো বছরের এই ইতিহাস বুকে নিয়েই পুরুলিয়া জেলার চিরাবাড়ির নাককাটা কালী এখন অন্যতম প্রাচীন পুজো হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে। এই মন্দিরের কালীর মাহাত্ম্য এখন এতটাই ছড়িয়ে পড়েছে যে ভিন রাজ্য থেকেও মানুষ দীপাবলির সময় এখানে ভিড় জমান। নাককাটা কালীর সেই ইতিহাস শুনে নেওয়া যাক মন্দিরের পুরোহিতের থেকেই।
এই মন্দিরের দেওয়াল বেয়েই বেড়ে উঠেছে অশ্বত্থ গাছ। কিন্তু কালীর মাহাত্ম্য এমনই যে মন্দিরের কোন ক্ষতি তো হয়ইনি, বরং গাছের শেকড়ই মন্দিরের দেওয়ালকে ধরে রেখেছে। এমনটাই বিশ্বাস স্থানীয়দের।
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমেছে পুজোর জৌলুশ। কিন্তু পুজো হয় ঐতিহ্য মেনেই। মায়ের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ডাকাতের হাতে পড়ে ক্ষত বিক্ষত হয়ে যায়। এই কালীর জিভ, পায়ের একটি অংশ ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে থাকে মন্দির প্রাঙ্গনে। সেগুলোর পুজো যেমন হয়। তেমনি প্রথা মেনে বলিও দেওয়া হয়।
জেলার অন্যতম প্রাচীন পুজো হিসেবে পরিচিত পুরুলিয়ার দেউলিয়া নাককাটা কালী পুজো। আগে এখানে মানুষের যাতায়াত তেমন না থাকলেও এখন চারপাশে বসতি গড়ে উঠেছে। তবু যত পেরিয়েছে সময় ততই ছড়িয়েছে নাককাটা কালীর মাহাত্ম্য।
সন্দীপ সরকার
পুরুলিয়া