Market

তাহলে কি এবার শিল্পের পালে হাওয়া লাগলো ? খবর টা শুনলে আপনাদের মনেও আশার আলো জেগে উঠবে। সম্প্রতি ১২৫ জন শিল্পকর্তা ও প্রতিনিধির সঙ্গে সেই বৈঠকের পরে এমনই ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার দাবি করে শিল্প মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান , শীঘ্রই রাজারহাটে প্রকল্পের কাজ শুরু করবে ইনফোসিস।সেই সঙ্গে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের দ্রুত মউ সইয়ের ইঙ্গিতও দেন তিনি। , তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের তরফে ‘ডেটা সেন্টার এবং আর্থিক সুবিধা নীতি তৈরি,ও বিদ্যুতের মাসুল হ্রাসের আর্জিও তাঁরা পেয়েছেন বলে জানান পার্থ বাবু। এমনকি ৬মাস অন্তরই তাঁরা এই ধরনের বৈঠক করবেন বলে জানান তিনি ।
বাম আমলের শিল্পায়ন কর্মসূচিতে ইনফোসিসের লগ্নি প্রস্তাব থাকলেও, নানা জটে সেই প্রকল্প থমকে গেছিল। এরপর তৃনমূল ক্ষমতায় আসার পরে এ নিয়ে উদ্যোগী হন তৎকালীন শিল্প তথা তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী পার্থবাবু। কিন্তু বছর দশেক আগে রাজারহাটে এই সংস্থা ৫০ একর জমি পেলেও কাজ শুরু হয়নি। এই জটিলতা কাটিয়ে উঠতে এরপরই তিন-চার বছর আগে , জমি ব্যবহারের শর্ত শিথিল করে রাজ্য। ৫১% জমি তথ্যপ্রযুক্তি ও পরিষেবা শিল্পের জন্য নির্দিষ্ট থাকলেও, বাকি জমি ইনফোসিসের পরিকল্পনামাফিক ব্যবহারে সায় দেওয়া হয়।
ইতিমধ্যেই রাজারহাটের সিলিকন ভ্যালিতে বিভিন্ন সংস্থা জমি নিয়েছে। পার্থবাবু জানান সম্প্রতি সংস্থাটির কর্তাদের সঙ্গে তাঁর ও দফতরের প্রধান সচিব রাজীব কুমারের কথাও হয়েছে।
এছাড়াও রিলায়্যান্স জিয়ো-সহ কয়েকটি সংস্থা রাজারহাটে জমি নিয়েছে। ইয়োটা এবং সিটিআরএল ও এমন কেন্দ্র তৈরি করবে বলে জানিয়েছেন পার্থ বাবু।
সেইসঙ্গে সোনারপুরের হার্ডওয়্যার পার্কে মাইক্রোওয়েভস সলিউশন্সের সঙ্গেও রাজ্যের শীঘ্র মউ সই নিয়েও আশার কথা বললেন মন্ত্রী। তিনি জানান, আইটি পার্কগুলিতে জায়গা চেয়ে ৮৮টি সংস্থা ইতিমধ্যেই আবেদন করেছে। প্রায় দু’হাজার কর্মসংস্থান হবে। এ ছাড়া ওয়েবেলের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে স্মার্ট মিটার বসানো বা শব্দ দূষণরোধী যন্ত্রাংশ তৈরির প্রস্তাবও এসেছে রাজ্যে ।
রাজ্যে ডেটা সেন্টার গড়তে বিশেষ নীতি তৈরির জন্য রাজ্যকে আর্জি জানিয়েছিলেন শিল্পকর্তারা। মন্ত্রীর দাবি, খসড়া নীতি তৈরির কাজ চলছে । মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সঙ্কেত পেলেই নতুন নীতি ঘোষণা করা হবে।
ব্যুরো রিপোর্ট ।