Market

চরম দুর্দশার মধ্যে চা-বাগানের কর্মীরা। দার্জিলিং, ডুয়ার্স এবং তরাই অঞ্চলের ৪ লক্ষেরও বেশি চা বাগান কর্মীরা এখন তীব্র আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে দিন গুজরান করছেন। অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর থেকেই চা বাগান কর্মীদের অনিশ্চয়তার পারদ প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে।
তৃণমূল এবং বিজেপির পক্ষ থেকে চা বাগান কর্মীদের আশ্বস্ত করে জানানো হয়েছিল যে, একুশের নির্বাচনের পর তাঁদের প্রতিদিনের পারিশ্রমিক বাড়িয়ে করা হবে ৩৫০ টাকা। কিন্তু সেগুরে বালি। না বেড়েছে তাঁদের পারিশ্রমিকের অঙ্ক আর না এসেছে টিকাকরণে গতি। আর এই দুয়ের চাপে পড়েই চা বাগান কর্মীদের অবস্থা ক্রমশই সঙ্গিন হয়ে উঠছে।
শেষবারের মত কর্মীদের পারিশ্রমিক বাড়ানো হয়েছিল সেই ২০১৫ সালে। এরপর সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উপস্থিত হল অতিমারি। আর যে কারণে তাঁদের অবস্থা যেন আরও কঠিন হয়ে উঠতে শুরু করল। এমনিতেই কর্মীরা স্বাস্থ্যপরীক্ষা, শিক্ষা এবং সুষম আহার থেকে ব্রাত্য থাকেন। তার অন্যতম প্রধান কারণ হল দারিদ্র্য। পয়সার অভাবে যেখানে অধিকাংশ কর্মীদের দুবেলা দুমুঠো খাবারটুকুই জোটে না সেখানে দাঁড়িয়ে আজ চা বাগান কর্মীরা যেন সত্যিই বিপজ্জনক খাদের ধারে এসে দাঁড়িয়েছেন। এমনকি আগেও কর্মীরা ঠিকঠাক রেশন পেতেন। কিন্তু রেশন কার্ডের ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া শুরু হবার পর থেকে রেশনের বরাদ্দটুকু জোটাতে রীতিমত মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হচ্ছে। কারণ ডিজিটালাইজেশন না হবার কারণে তাঁরাও রেশন থেকে প্রাপ্য চাল বা গমের কিছুই পাচ্ছেন না। আর যে কারণেই আজ তীব্র সংকটের মধ্যে চা বাগানের কর্মীরা।
ব্যুরো রিপোর্ট