Trending
হনুমানের লঙ্কা কাণ্ড কে না জানে! আর সেই হনুমানের তাণ্ডবেই নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের কৃষকদের। দীর্ঘদিন ধরেই হনুমানের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছিল কৃষিক্ষেত্রে। তাই এবার হনুমানের হাত থেকে ফসল বাঁচাতে অভিনব কৌশল গ্রহণ করল কৃষিদপ্তর। কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়া হল মাংকি রিপেলেন্ট সিস্টেম।
দীর্ঘদিন ধরে হনুমানের তাণ্ডবে নাজেহাল হয়ে গেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের কৃষকরা। কখনও ফসল বা সব্জি খেয়ে আবার কখনো ফসল ছিঁড়ে নষ্ট করে ব্যপক পরিমাণ ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে কৃষকদের। আবার কখনও হনুমান তাড়া করতে গিয়েও রামভক্তদের হাতে আক্রান্তও হতে হয়েছে তাঁদের। কৃষি দপ্তরের আধিকারিকেরা কৃষকদের নিয়ে যে কোনো মিটিং কিংবা এলাকা পরিদর্শনে এলে কৃষকদের কাছে একটাই অভিযোগ পেতেন হনুমানের হাত থেকে ফসল রক্ষা করা যাবে কিভাবে! এরপরই পটাশপুর ১ নং ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা স্নিগ্ধা মন্ডল তাঁর প্রচেষ্টায় এক অভিনব ব্যবস্থা গ্রহণ করলেন কৃষকদের জন্য।
হনুমানকে নিধন করা একরকম আইনত অপরাধ। তাই বনদপ্তরের কর্মীরাও চিন্তায় ছিলেন কিভাবে কৃষকদের রক্ষা করা যায়। এরপরই আতমা প্রকল্পের মাধ্যমে আমেরিকা থেকে এই মেশিন আনিয়ে কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই মেশিন ব্যাবহারে একদিকে যেমন কোন প্রাণহানি হয়না আরেকদিকে কোন শব্দ দূষণ ছাড়াই হনুমান তাড়ানো সম্ভব হয়।
খুব সামান্য বিদ্যুৎ খরচের মাধ্যমে এই “মাংকি রিপেলেন্ট ” ব্যবহার করে ফসল হনুমানের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব এমনটাই দাবি পটাশপুর ১ ব্লকের কৃষিআধিকারিক স্নিগ্ধা মন্ডলের। আর যে কারণে কৃষিদপ্তরের আতমা প্রকল্পের মাধ্যমে কয়েকদিন আগেই ৪৫ জন কৃষককে বিনামূল্যে তুলে দেওয়া হয়েছে এই বিশেষ সাউন্ড সিস্টেম যন্ত্র। তাঁর দাবী হনুমানের হাত থেকে কৃষকদের ফসল বাঁচাতে এই অভিনব উদ্যোগ জেলায় সর্বপ্রথম।
ইতিমধ্যেই এই মেশিন ব্যবহার করে যথেষ্ট সুফল পেয়েছেন কৃষকরা। তাই এই মেশিন যদি আরও প্রয়োজন হয় তাহলে সেক্ষেত্রে আরও মেশিন কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানান স্নিগ্ধা মণ্ডল।
একদিকে চাষ করতে গিয়ে ফসলের যেমন রোগসমস্যা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টির ফলে ফসলের ক্ষতি হয়ে থাকে তেমনি অনেক জায়গায় হনুমানের উপদ্রবে ফসলের ব্যপক ক্ষতিসাধন হয়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এমনই এক ব্লক হল পটাশপুর ১ ব্লক।
একদিকে জেলা কৃষি আধিকারিকদের তৎপরতা অপরদিকে কৃষকদের আবেদন নিবেদনে পূর্ব মেদিনীপুর এখন কিছুটা হলেও হনুমানের উৎপাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
প্রসূন ব্যানার্জি , পূর্ব মেদিনীপুর