Daily
কলাইকুন্ডাতে মোদি মমতার সাক্ষাতের পরই রাজ্যের মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি যাত্রাকে কেন্দ্র করে আবারও আমনা সামনি যুদ্ধে কেন্দ্র ও রাজ্য।
গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক উপস্থিত না থেকে বরং প্রধানমন্ত্রীর হাতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কুড়ি হাজার কোটি টাকার একটি দাবি সনদ তুলে দেন। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তড়িঘড়ি জানিয়ে দেওয়া হয়, রাজ্য ও ঝাড়খণ্ডের জন্য কেন্দ্র বরাদ্দ করেছে ৫০০ কোটি টাকা।
এরপরই কেন্দ্রের তরফের দিল্লিতে মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রীয় কর্মীবর্গ যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই নির্দেশ ঘিরেই এখন সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
এক্সটেনসনে থাকা মুখ্য সচিবকে অবিলম্বে দিল্লিতে কাজে যোগ দিতে হবে। কেন্দ্রের এই নির্দেশ মানতে নারাজ রাজ্য।
রাজ্যের মুখ্য সচিব যেহেতু সর্বভারতীয় ক্যাডারভুক্ত কর্মী তাই তিনি ক্যাডার আইনের আওতায় কেন্দ্রের নির্দেশ মানতে বাধ্য। অন্যদিকে, রাজ্য কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
করোনা অতিমারির সময়ে মুখ্য সচিব এখন দিল্লিতে চলে গেলে রাজ্যে করোনা মোকাবেলা করা শক্ত হবে। কারণ আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত দক্ষ অফিসার।
কেন্দ্রের যুক্তি, সর্বভারতীয় ক্যাডারভুক্ত সব অফিসারই অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারেন। তাহলে রাজ্যে কি কেবল একজন মাত্রই দক্ষ অফিসার আছেন?
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে রাজ্যের উপকূলবর্তী বিভিন্ন জেলায় যখন চলছে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নেওয়ার কাজ। শুরু হয়েছে রাজ্য সরকারের, দুয়ারে ত্রাণ কর্মসূচি। ঠিক সেই সময় কেন্দ্র-রাজ্য সহযোগিতার বদলে সম্মুখ সমরে ।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত রাজ্যে এখন প্রয়োজন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ত্রাণ ও পুনর্বাসন এর কাজ। প্রয়োজন হাজার হাজার কোটি টাকার। সেখানে মুখ্য সচিব কলকাতায় থাকবেন না দিল্লিতে বসে কাজ করবেন তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হলে ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজ বিলম্বিত হবে নাতো? এমন প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।
ব্যুরো রিপোর্ট