Daily
বির্তকিত কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের সমস্যার এখনও সুরাহা করতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার। এর মধ্যেই চলতি মাসের ২৯ তারিখ থেকে শুরু হওয়া সংসদের শীতকালীন অধিবেশন আবারো উত্তপ্ত হতে পারে ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ বিল নিয়ে।
মাথার উপর কৃষক সমস্যা নিয়েই গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত কেন্দ্রীয় সরকারের সামনে হাজির ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ বিল।
চলতি মাসের ২৯ তারিখ থেকে শুরু হতে চলা সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন মোট ২৬ টি বিল সংসদে পেশ করতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে পূর্ব ঘোষণা মত দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ বিল।
একদিকে কৃষকরা যখন ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি রক্ষাকবচ দাবি করছেন তখন অন্যদিকে ব্যাঙ্ক কর্মচারীরা ব্যাঙ্ক বাঁচাও, দেশ বাঁচাও স্লোগান নিয়ে কলকাতা থেকে দিল্লি পদযাত্রা শুরু করেছেন। যারা দিল্লিতে পৌঁছবেন চলতি মাসের ৩০ তারিখে।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এই শীতকালীন অধিবেশনে ১৯৭০ ও ১৯৮০ সালের ব্যাঙ্ক জাতীয়করণ আইনের পাশাপাশি ১৯৪৯ সালের ব্যাঙ্কিং নিয়ন্ত্রণ আইনে সংশোধনী এনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ করতে বদ্ধপরিকর।
আর্থিক বিশ্লেষণ এবং রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অভিযোগ, এইভাবে চলতি আইনে সংশোধনী এনে কেন্দ্রে মোদি সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির বেসরকারিকরণের মাধ্যমে কর্পোরেটদের স্বার্থ রক্ষা করার কাজ করছে।
কৃষক আন্দোলনের সফলতাকে পুঁজি করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মীরাও একজোট হয়েছে ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ ঠেকাতে। ব্যাঙ্কিং সংগঠনগুলির বক্তব্য, কৃষকদের প্রতিরোধ আন্দোলনের কাছে যদি কেন্দ্রীয় সরকার নত হয় তাহলে ব্যাঙ্কিং কর্মচারীরাও দেশজুড়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবেন।
তবে চলতি মাসের শেষে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে মোদি সরকারের সামনে গলার কাঁটা হয়ে বিঁধে থাকবে একদিকে যেমন কৃষি আইন প্রত্যাহারের আইনি দিকটি, তেমনি কৃষকরা রাস্তা থেকে বাড়ি ফিরতে না ফিরতেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠানগুলির কর্মচারীরা যদি আবারো দিল্লির সীমানায় বসে লাগাতার আন্দোলন করেন তাহলে চরম অস্বস্তিতে পড়বেন দিল্লির সরকার। আন্দোলনের তোপে জেরবার মোদি সরকারের জনবিরোধী চরিত্রকে আরো বেশি করে প্রকাশ করে দেওয়ার সুযোগকে যে তৃণমূল, কংগ্রেস সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবে ২০২৪ এর দিকে তাকিয়ে সে কথা বলাই যায়।
ব্যুরো রিপোর্ট
বিজনেস প্রাইম নিউজ