Daily
মঙ্গলে ঊষা বুধে পা। যথা ইচ্ছা তথা যা। যেতে তো পারলেন না উল্টে মুখ পুড়লো মোদী সরকারের। তাও আবার বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্টে।
বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্টকে হাতিয়ার করে মোদি সরকা কে আক্রমণ করতে শুরু করলো কংগ্রেস-সিপিএম, তৃণমূল সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।
বিশ্ব ব্যাঙ্ক প্রতিবছরই বিনিয়োগের সম্ভাবনা, কর কাঠামো, পরিকাঠামো ও পরিষেবা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রগুলিতে বিভিন্ন মানদণ্ডের ভিত্তিতে দেশগুলির রেটিং করে থাকে। সেই রেটিং এর ভিত্তিতে শিল্পপতিরা বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। যে রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে শিল্পপতিরা বিনিয়োগ করে থাকেন এবার সেই রিপোর্টের প্রকাশ বন্ধ করে দিল বিশ্ব ব্যাঙ্ক।
সহজে ব্যবসার পরিবেশ বা ইজ অব ডুইং বিজনেস রিপোর্ট প্রকাশ এবার বন্ধ রাখল বিশ্ব ব্যাঙ্ক। বিশ্ব ব্যাঙ্ক সূত্রের খবর, দেশগুলিকে রেটিং করার পদ্ধতিতে গলদ রয়েছে তাই বন্ধ রাখা হয়েছে এই রিপোর্ট।
বিশ্ব ব্যাঙ্কের একশ্রেণির প্রভাবশালী কর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, চীনকে তথ্যের কারচুপি করে তালিকায় উপরে উঠিয়ে আনা হয়েছে। তাই আন্তর্জাতিক মহলে, বিশ্ব ব্যাঙ্কের কর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় স্বাভাবিকভাবেই ধাক্কা খেয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্কের ভাবমূর্তি।
বিনিয়োগের সম্ভাব্য গন্তব্য হিসেবে ভারতের স্থান ছিল ৬৩ নম্বরে। কিন্তু ২০১৪ সাল থেকে ভারত একলাফে অনেকটাই উপরে উঠে ৭৯ নম্বরে এসে দাঁড়ায়। চীনের পাশাপাশি ভারতের নাম উঠে এসেছে তালিকায় অনেকটা উপরে। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, মোদি সরকার তথ্যে কারচুপি করে তালিকায় নিজেদের রাঙ্কিং বাড়িয়েছে।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ সরাসরি মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, বিশ্ব ব্যাঙ্ক যদি তথ্যের কারচুপির ভিত্তিতে দেশগুলির তালিকা তৈরি করত, তাহলে নরেন্দ্র মোদীর নতুন ভারত এক নম্বরে জায়গা করে নিত।
করোনার প্রভাবে দেশে যখন লক্ষ লক্ষ মানুষের হাতের কাজ চলে গিয়েছে। দোকান, কলকারখানাগুলির অধিকাংশই যখন ঝাপটানোর অবস্থায় তখন ২০১৪ সাল থেকে মোদী সরকার বিশ্ব ব্যাঙ্কের এই রিপোর্টকে হাতিয়ার করে মজবুত ভারতের পক্ষে সওয়াল করত। এখন বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্ট প্রকাশ বন্ধ করে দেওয়ায় দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে ঘরে বাইরে মোদী ম্যাজিক অনেকটাই ফিকে হয়ে পড়েছে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।
ব্যুরো রিপোর্ট