Market

কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদির সরকার আসার পর থেকেই কমে আসছে সরকার শাসিত প্রতিষ্ঠান। পরিবর্তে চওড়া হচ্ছে বেসরকারিকরণের দরজা। বিমান থেকে ব্যাঙ্ক সর্বত্রই পড়েছে বেসরকারিকরণের ছাপ। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল ২০০ বছরের পুরনো অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড যা দেশের ৪১টি অস্ত্র কারখানা নিয়ন্ত্রণ করে। এই সংস্থার মাধ্যমেই তৈরি হয় দেশের অধিকাংশ গোলা, বারুদ এবং সামরিক সরঞ্জাম।
সূত্রের খবর, অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের পুনর্গঠনের দাবি উঠেছিল অনেকদিন আগে থেকেই। অবশেষে সেই প্রস্তাবে অনুমতি দিল সরকার। এই বোর্ডকে ভাগ করা হবে সাতটি আলাদা প্রতিষ্ঠানে। যার দায়িত্বে থাকবে সাতটি আলাদা সংস্থা। এর ফলে পেশাদারিত্ব যেমন বাড়বে, তেমন উৎপাদনশীলতাও অনেকটা বৃদ্ধি পাবে। কারণ, কারখানায় আর শুধু ট্যাঙ্ক, মাইনরোধক গাড়ি, বন্দুক, অ্যান্টি এয়ারক্রাফট গান, বোমা, রকেট বা প্যারাসুট তৈরি হবে না, তৈরি হবে আরও সব অত্যাধুনিক অস্ত্র। আর এই গোটা পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে অস্ত্রের ক্ষেত্রে বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনবে ভারত।
সরকারি সূত্রে খবর, বেসরকারিকরণ হলেও কর্মীদের আশঙ্কার কোন কারণ নেই। কেউ কাজও হারাবেন না বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। প্রতিরক্ষা খাতে এই উৎপাদনকে জোর দেবার জন্য সরকারের এই পদক্ষেপকে ইতিবাচক বলে জানিয়েছেন রাজনাথ সিং।
উল্লেখ্য যে সাতটি ইউনিট তৈরি হবে তাদের মধ্যে রয়েছে, গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক ইউনিট, যানবাহন গ্রুপ, অস্ত্র এবং সরঞ্জাম গ্রুপ, মিলিটারি সাপোর্ট মেটেরিয়াল গ্রুপ, সাপোর্ট গ্রুপ, অপটোলেক্ট্রনিক্স গ্রুপ এবং প্যারাসুট গ্রুপ। আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যে যারা প্রত্যেকে দায়বদ্ধ।
ব্যুরো রিপোর্ট