Trending

উন্নত প্রযুক্তির যুগে পৃথিবীর সবকিছুই আজ হাতের মুঠোয়। একটা টাচেই মিলে যায় সমস্ত সমস্যার সমাধান। এতো গেল উন্নত প্রযুক্তির সুবিধার বা ভালোর দিক। কিন্তু আবার অপরদিকে এই মুঠোফোনই নিয়ে আসছে মারাত্মক বিপদ। বর্তমানে ম্যালওয়্যার-ভাইরাস অবশ্যই সেই বিপদের দিক। বুঝতেই পারছেন, অ্যান্ড্রয়েড ম্যালওয়্যারের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের কারণেই এই তুলনা। সম্প্রতি ইন্টারনেটে ফের একটি ম্যালওয়্যার জনিত সমস্যা তৈরি হয়েছে। সে খবর হয়ত রয়ে গেছে আমার বা আপনার দৃষ্টির অগোচরেই। সূত্রের দাবি, হালফিলে নেটদুনিয়ায় ম্যালওয়্যার সংক্রান্ত একটি বড় হুমকি উপস্থিত হয়েছে, যা ইউজারদের বিভিন্ন সমস্যার কারণ হতে চলেছে। আসলে এই ম্যালওয়্যার থেকে ইউজারের ডেটা চুরি বা গোপনীয়তার সাথে অ্যাপসের পাশাপাশি অ্যাপ্লিকেশন স্নুপিং এবং ডেটা এনক্রিপ্টিংয়েরও আশঙ্কা রয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, সাইবারসিকিউরিটির রিসার্চাররা গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ স্টোর অর্থাত্ গুগল প্লে স্টোর থেকে সম্প্রতি মোট ১১টি অ্যাপ আবিষ্কার করেছেন যা জোকার ম্যালওয়্যার দ্বারা সংক্রামিত হয়েছিল এবং আর্থিক জালিয়াতি পরিচালনা করতে সক্ষম ছিল। শুধু তাই নয়, জানা গিয়েছে যে এই অ্যাপ্লিকেশনগুলি প্রোডাক্টিভিটি, কানেকশন এবং কীবোর্ডের মত অন্যান্য ফাংশনগুলিকে কাজে লাগাত। ইতিমধ্যে গুগল প্লে স্টোর থেকে এই অ্যাপ্লিকেশনগুলিকে সরানো হয়েছে ঠিকই তবে তার আগেই এগুলি ৩০ হাজারের কাছাকাছি সংখ্যায় ইনস্টল হয়েছে।
কীভাবে এই জোকার ম্যালওয়্যার, জাল বিস্তার করে জেনে নিন :
জোকার ম্যালওয়্যার, ডিভাইসের এসএমএস ব্যবহার করে প্রিমিয়াম পরিষেবায় সাইন আপ করিয়ে ইউজারের ব্যাংক থেকে অর্থ খালি করে। এই জাতীয় অ্যাপগুলি সাইন-আপ মেসেজ লুকানোর জন্য ‘রিড নোটিফিকেশন’ অপশন ট্র্যাক করে। সেক্ষেত্রে এই ম্যালওয়ারের নতুন রূপগুলি ডিভাইসকে সংক্রামিত করার একটি অভিনব পদ্ধতি ব্যবহার করছে, যেখানে এগুলি ইউআরএল সর্টেন ব্যবহার করে “পেলোড” ডাউনলোড করছে এবং দূষিত ইউআরএল লিঙ্ক উপস্থিত করছে। এগুলি ডিভাইসে বিদ্যমান হওয়ার জন্য খুব সহজেই গুগল প্লে-র সিকিউরিটি সিস্টেমকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অন-ডিভাইস স্ক্যানিং এড়াচ্ছে।
কিভাবে জোকার ম্যালওয়্যার থেকে নিজের ফোনটিকে বাঁচাবেন :
জোকার ম্যালওয়্যার থেকে বাঁচার জন্য, ইউজারদের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহার করার সময় গুগল প্লে স্টোর থেকে সুপরিচিত অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। অর্থাত্ অ্যাপ ডাউনলোডের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। তাছাড়া ডিভাইসের সেটিংসে কোনো পরিবর্তন আসছে কিনা, সে বিষয়টিও খেয়াল রাখতে হবে।
ব্যুরো রিপোর্ট