Science & Technology
মোবাইল গেম খেলে মাসে ইনকাম ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। অবাক হলেও এটাই সত্যি। বর্তমানে মোবাইল গেম এর নেশায় বুদ নতুন প্রজন্ম। কিন্তু আপনি যদি চান তাহলে এই নেশাকেই করে ফেলতে পারেন পেশা। মাস গেলে ইনকামও খারাপ হবে না।
ভেঞ্চার ক্যাপিট্যালিস্ট ফান্ড সংস্থা লুমিকাই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের প্রায় ছয় লক্ষ ছেলে-মেয়ে মোবাইল গেমিং-কে পেশা হিসেবে নির্বাচিত করেছেন, যাকে বলে ই-স্পোর্টস।আর যদি কোচ, ম্যানেজার এই পোস্টগুলো ধরেন সেক্ষেত্রে সংখ্যাটা আরো বেশি।
মোবাইল গেমস সংস্থা ক্র্যাফটন-এর ভারতীয় শাখার সিইও সিন হিউনিল জানিয়েছেন, ‘ই-স্পোর্টস অ্যাথলিটরা শুধুমাত্র গেম খেলে টাকা রোজগার করছেন তা নয়, একইসঙ্গে তারা বর্তমানে মোবাইল গেমসের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরও। টপ প্লেয়ারদের নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট অর্থাৎ ইউটিউব চ্যানেল, ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে সাবস্ক্রাইবার ও ফলোয়ারের সংখ্যা নেহাতি কম নয়।ইউটিউবে অনলাইন গেম খেলেন এমন ইউটিউবারদের ভিউ কোটির ঘরে। যার জেরে মাসের শেষে তারা মোটা অংকের অর্থ রোজগার করেন। এছাড়াও রয়েছে এনডোর্সমেন্ট, স্পনসরশিপ এর মত অর্থ উপার্জনের রাস্তা।
এছাড়াও বহু গেমার নির্দিষ্ট গেম সংস্থার অধীনে থেকে গেম খেলে টাকা উপার্জন করে। তারা মূলত নির্দিষ্ট একটি গেমের মধ্যে থাকা বাগ অর্থাৎ Error খোঁজার চেষ্টা করেন।
কিন্তু এই মোবাইল গেমিং সেক্টরের বেশ কয়েকটি নেতিবাচক দিকে রয়েছে। রোজ ৮-১০ ঘণ্টা টানা মোবাইল স্ক্রিনে তাকিয়ে গেম খেললে শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি আসতে বাধ্য। মাত্রাতিরিক্ত স্ক্রিন টাইমের সৌজন্যে কম বয়সে অনেক বাচ্চার চোখে উঠেছে হাই পাওয়ার চশমা।
সব মিলিয়ে বলা যায়, বর্তমান এই দুর্মূল্যের বাজারে আপনার নেশা যদি হয়ে থাকে গেমিং, তবে সেই নিশাকেই পেশা করে মাসে মোটা টাকা রোজগার করে স্বাবলম্বী হতে পারবেন আপনি।
দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থ