Daily

স্বল্পেই তুষ্ট হরিণঘাটার ফতেপুরের দীননাথ মণ্ডল। জমির পরিমাণ মাত্র এক বিঘা। অথচ কি সুন্দর প্ল্যানিং করে নিজের হাতে সযত্নে তৈরি করেছেন তাঁর মিক্সড ফার্মটি। একই ছাদের তলায় চাষ করছেন বিভিন্ন প্রজাতির মুরগী থেকে শুরু করে, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মাছ- আরও কত কি! অবাক লাগছে? কিন্তু যাই বলুন, বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে যাদের, অথচ প্রপার প্লানিংয়ের অভাবে কিভাবে সেটা ব্যবহার করবেন বুঝতে পারছেন না, তাঁদের জন্য দীননাথ বাবু একজন উদাহরণ বৈকি! চলুন ঘুরে আসা যাক তাঁর ফার্ম থেকে।
ব্যবসার উন্নতির ক্ষেত্রে আসলে মার্কেটিংটাই শেষ কথা। আর এই মন্ত্রকেই মূলমন্ত্র করে বছর আড়াই আগে পথ চলা শুরু দীননাথ বাবুর। সঠিক পরিকল্পনা করে আজ এই মিক্সড ফার্মের ব্যবসাই দীননাথ বাবুকে দেখাচ্ছে আর্থিক আয়ের দিশা। আজ তাঁর ফার্মে রয়েছে ছত্তিশগড়ের টার্কি, মধ্যপ্রদেশের কড়কনাথ, আর আই আর মুরগি, শ্রী হরি, তোতাপুরি, ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল, খাকি ক্যাম্বেল হাঁস, গাড়ল জাতের ভেড়া, সঙ্গে আছে বায়োফ্লক প্রযুক্তিতে মাছ। সাধের এই ফার্মের নাম দিয়েছেন, মা তারা মিক্সড ফার্ম।
সঠিক পরিকল্পনামাফিক করা মার্কেটিং আর ফার্মের প্রাণীদের সঠিক ট্রিটমেন্ট করলে, লাভের মুখ দেখা যাবেই। দীননাথ বাবুর বক্তব্য অন্তত এমনটাই। সেই জন্য সঠিক খাদ্যগুন প্রদান করাটাও কিন্তু ভীষণ ইম্পরট্যান্ট। দীননাথ বাবু তাঁর ফার্মের হাঁস মুরগীর জন্য ব্যবহার করেন এক বিশেষ ধরণের খাবার। প্রাণীসম্পদের খাবার ব্যবহার করেন হাইড্রোক্লোরিক খাদ্য। বিস্তারিত শুনে নেব স্বয়ং ফার্ম মালিকের মুখ থেকেই।
দীননাথ বাবুর ফার্মে বর্তমানে কাজ করছেন এমন বেশ কয়েকজন কর্মী, যারা এর আগে ক্ষেত মজুরের কাজ করতেন। তবে বর্তমানে ৩৬৫ দিনের কাজ পাওয়ায় তারাও ভীষণ খুশি। তাঁর এই মিক্সড ফার্ম দেখে রীতিমত উৎসাহিত হরিণঘাটার সমষ্টি প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের আধিকারিক ডঃ মৃণালকান্তি দাস।
আগামীদিনে নিজের মিক্সড ফার্মের পরিসর বাড়ানোর কথা ভাবছেন তিনি। আর গ্রাম পঞ্চায়েত তথা সরকারের সাহায্য পেলে তিনি যে এই সুন্দর পরিকল্পনাকে সুদুরপ্রসারি করে তুলতে পারবেন, সে কথা বলাই যায়।
সুব্রত সরকার
নদীয়া