Daily

যাত্রী সেজে টোটোতে উঠে ছিনতাইয়ের চেষ্টা। বাধা দেওয়ায় টোটো চালকের গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ বসালো দুস্কৃতীরা। মঙ্গলবার সন্ধেয় এই ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল ফলতার হেলেগাছিয়া সাধনচন্দ্র কলেজের কাছে।
দুষ্কৃতিদের অস্ত্রের কোপে গলার নলি কেটে যায় টোটো চালকের। আশঙ্কাজনক অবস্থায তাকে ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে ভর্তি করা হয় । পুলিশ জানিয়েছে, জখম টোটো চালক সুনীল দাস কুলতলির মৈপিঠ উপকূল থানার গুড়গুড়িয়া এলাকার বাসিন্দা হলেও বেশ কিছুদিন ধরে কল্যাণপুর এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ফলতা থানা এলাকার বাসিন্দা রাজা নামে এক যুবক সুনীলের টোটো ভাড়া করে। সুনীলকে বলা হয় ফলতায় কফি বানানোর মেশিন আনতে যেতে হবে। সেই মত রাজাকে সঙ্গে নিয়ে ফলতায় রওনা দেন তিনি। দুপুরে একসাথে খাওয়া দাওয়াও সারেন। টোটো চালককে অনেক রাস্তা ঘোরানোর পর স্থানীয় হেলেগাছিয়া এলাকার একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে আসে রাজা। সেখানেই দাঁড়িয়েছিল রাজার কয়েকটি বন্ধু। টোটো থেকে নামতেই সুনীলকে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে টোটো নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে রাজা সহ সঙ্গে থাকা অন্য দুস্কৃতীরা। কিন্তু সুনীল টোটো ছিনতাইয়ে বাধা দিতেই দুস্কৃতীরা তার গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ বসিয়ে দেয়। গলার নলি কাটে সুনীলের। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে ছটফট করতে থাকেন তিনি । সেই সময় কিছুটা দূরে টহল দিচ্ছিলেন পুলিশ কর্মী ও সিভিক ভলেন্টিয়াররা। টোটো চালকের চিৎকার শুনে তাঁরা ঘটনাস্থলে চলে এলে টোটো ফেলে রেখে চম্পট দেয় দুস্কৃতীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের চেষ্টায় সুনীলকে উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আশংকা জনক অবস্থায় সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। সুনীলের বাড়িতে ফোন করে ঘটনার খবর দেয় ফলতা থানার পুলিশ। ইতিমধ্যে হাসপাতালে চলে এসেছেন আক্রান্তের পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
নবাব মল্লিক, দক্ষিণ ২৪ পরগনা