Daily
নারদকাণ্ডে এবার গ্রেফতার রাজ্যের দুই মন্ত্রীসহ এক বিধায়ক ও শোভন চট্টোপাধ্যায়।
নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগে থেকেই শুরু হয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সির চার্জশিট দেওয়ার তোড়জোড়। নতুন বিধানসভার স্পিকারের অনুমতির অপেক্ষা না করেই রাজ্যপালকে দিয়ে সই করানো হল মন্ত্রী ও বিধায়কদের গ্রেফতারির আদেশনামা।
এদিন সকাল থেকেই সিবিআই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে কলকাতার বিভিন্ন জায়গা থেকে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসে নিজাম প্যালেস। পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যপক তোলপাড়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজাম প্যালেসের সামনে উপস্থিত হন। জায়গায় উপস্থিত তৃণমূলের সমর্থকদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ধস্তাধস্তিও হয় বিস্তর। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শাসক তৃণমূলের পক্ষ থেকে ধিক্কার জানান হয়েছে।
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই ঘটনাকে বিজেপির গভীর চক্রান্ত বলে উল্লেখ করেন। কুণালবাবুর বক্তব্য, হেরো বিজেপি কেন্দ্রীয় এজেন্সির মাধ্যমে রাজ্যে অস্থিরতা তৈরি করে পিছন দরজা দিয়ে বাংলার ক্ষমতা দখল করতে নেমেছে। এই কাজে বিজেপির দোসর রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।
নির্বাচিত বিধানসভার স্পিকারকে অন্ধকারে রেখে কিভাবে রাজ্যের মন্ত্রী ও বিধায়কদের গ্রেফতারিতে রাজ্যপাল অনুমোদন দিলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
রাজ্যে তৃতীয়বার ক্ষমতায় বসে কেন্দ্রের সঙ্গে সহযোগিতার বার্তাই দিয়ে আসছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির এই পদক্ষেপ কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ককে যে আরও তলানিতে নিয়ে যাবে তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অনেকেই সহমত পোষণ করেছেন।
নারদ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত বর্তমান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও মুকুল রায় কিভাবে গ্রেফতারি এড়ালেন সেই প্রশ্ন তুলে এদিন দফায় দফায় কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভে নামে তৃণমূল কর্মীরা। যদিও দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কর্মীরা যেন বিজেপির পাতা ফাঁদে পা না দেন।
এখন আদালতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি কিভাবে রাজ্যের বিধায়ক ও মন্ত্রীদের পেশ করবেন সেদিকে যেমন নজর থাকবে, তেমনই নজর থাকবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘটনাকে কিভাবে জাতীয় পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে বিজেপি বিরোধী জনমত তৈরি করবেন সেদিকেও।
ব্যুরো রিপোর্ট