Daily
জাওয়াদের ঘূর্ণিঝড় থেকে রাজ্যবাসী রক্ষা পেলেও বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পেল না কৃষিজ ফসল। কৃষি দফতরের সতর্ক বার্তা সত্ত্বেও দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে রাজ্যের অধিকাংশ খেতখামার যখন জলমগ্ন ঠিক তখনি যেটুকু ফসল বেঁচে আছে, তাকেই খড়কুটোর মত আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাইছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কৃষকরা। মাঠ থেকে জলে ডোবা ধান রাস্তায় বিছিয়ে শুকানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন কৃষক। আর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত? প্রশ্ন করতেই দফতরের অগ্রগতির কথাটাই জানালেন শস্যবিমা বিভাগের সহ অধিকর্তা ড. মৃণাল কান্তি বেরা।
একদিকে কৃষি দফতর যখন তৎপর হয়েছে ক্ষয়ক্ষতি জরিপ করতে তখন ব্রজগোপাল জানার মত কৃষকরা জানাচ্ছেন, বৃষ্টিতে সব শেষ হয়ে গেল। শুধু যে ধানেরই ক্ষতি হয়েছে এমন নয়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া, তমলুক, কোলাঘাট, রামনগর- এই সমস্ত ব্লকগুলিতে ধানের পাশাপাশি ডাল, শস্য ও তৈলবীজ চাষেও বেশ ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
তবে ফুল চাষেও ব্যপক পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে অকালবর্ষণে। সব মিলিয়ে আরো কয়েকটা দিন না গেলে টাকার অঙ্কে জাওয়াদ কতটা ক্ষতি করল সেই হিসাব বেরিয়ে আসবে না বলেই মনে করছেন কৃষি আধিকারিকরা। তবে জেলার অধিকাংশ কৃষকদের মাঠের ফসল শস্যবিমার আওতায় আছে বলেই জানিয়েছেন কৃষি দফতর।
তবে কৃষি বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, প্রকৃতির খামখেয়ালিপনা মানুষ নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলেও এ বছর জাওয়াদ আসার বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে রাজ্য জুড়ে যেভাবে কৃষকদের সচেতন করা হয়েছিল, তার সুবাদে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই কম হয়েছে। তবুও ক্ষতি শেষ পর্যন্ত ক্ষত হয়েই থাকে চাষের বুকে।
প্রসূন ব্যানার্জী
পূর্ব মেদিনীপুর