Daily
কখনো দাবানলের জন্য পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে বনাঞ্চল। কখনো বা দেখা যাচ্ছে, স্রোতস্বিনী নদীর জল শুকিয়ে গিয়েছে একেবারে। গোটা ইউরোপ জুড়ে যে খরার দাপট দেখা যাচ্ছে, তার প্রভাব সরাসরি এসে পড়ছে কৃষিকাজে। আর যে কারণে গোটা ইউরোপ মহাদেশের কৃষি অর্থনীতিতে লেগেছে সেই খরার আঁচ। পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। এমনই সতর্কতা জারি করল ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
ইউরোপের প্রায় অর্ধেক জায়গায় এই খরা পরিস্থিতির শিকার বিগত ৫০০ বছরে এমন ভয়াবহ রূপ নেয়নি। বেলজিয়াম, ফ্রান্স, জার্মানি, হাঙ্গারি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, লুগজেমবার্গ, নেদারল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া এবং স্পেনে খরা এমনই মারাত্মক আকার নিয়েছে। এই প্রভাব পড়ছে ব্রিটেন, সার্বিয়া, ইউক্রেনের মতন একাধিক অঞ্চলে। চলতি বছরের মে মাস থেকে যে চরম দাবদাহ শুরু হয়েছে তার প্রভাবেই নদীর জলস্তর নামছে বিপজ্জনক হারে। স্বাভাবিকভাবেই, সেই প্রভাব সরাসরি এসে পড়েছে এই বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষিকাজে। এমন শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে ব্যপক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সয়াবিন, ভুট্টা এবং সূর্যমুখীর উৎপাদন। সয়াবিনের উৎপাদন কমেছে ১৫ শতাংশ, ভুট্টার উৎপাদন কমেছে ১৬ শতাংশ আর সূর্যমুখীর উৎপাদন কমেছে ১২ শতাংশ মতন।
পরিবেশবিদরা জানাচ্ছেন, চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত এই তাপপ্রবাহ কার্যত নাকাল করে দেবে গোটা ইউরোপবাসীকে। একই সঙ্গে খরার দাপট যদি আরও মারাত্মক হয় সেক্ষেত্রে কৃষি অর্থনীতিতে ভালোরকম আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। এমনকি নদীর জল শুকিয়ে যাওয়ার কারণেই ব্যপকভাবে ব্যহত হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। জানা গিয়েছে, বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে ইউরোপে কমে গেছে ঠাণ্ডার দাপট। পরিবেশবিদরা বলছেন, এখনো সতর্ক না-হলে আগামী কয়েক বছরে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক জায়গায় পৌঁছে যেতে পারে। কৃষিকাজে পড়তে পারে মারাত্মক প্রভাব।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ