Market
বেশ কয়েকদিন পর সপ্তাহের শুরুতেই ইতিবাচক প্রভাব পড়ল শেয়ারবাজারে। হাসি চওড়া হল বিনিয়োগকারীদের। সেনসেক্সের সূচক তিনদিন টানা ভালোরকম উত্থান দেখার কারণে ১০.১৯ লক্ষ কোটি টাকা পেলেন বিনিয়োগকারীরা। গত সোমবার বিএসই-র সূচক ১০৪১.০৮ পয়েন্ট উঠে দাঁড়িয়ে ৫৫,৯২৫.৭৪ পয়েন্টে। অন্যদিকে নিফটির সূচক ৩০৮.৯৫ পয়েন্ট উঠে দাঁড়িয়েছে ১৬,৬৬১.০৪ পয়েন্টে। তবে এই উত্থানের পিছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা।
যার মধ্যে অন্যতম আমেরিকায় মূল্যবৃদ্ধিতে ভাটা। মনে করা হচ্ছে, ফেডেরাল রিজার্ভ সুদ বৃদ্ধি নিয়ে নরম হওয়ার কারণে সেই প্রভাব সরাসরি এসে পড়েছে বিশ্ববাজারে। আবার চিনে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মাঝে যে কড়াকড়ি শুরু হয়েছিল, সেখানেও শিথিলতা আসার কারণে আমদানি-রফতানিতে সমস্যা তৈরি হবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তার ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে দালাল স্ট্রিটে। এদিকে দেশের শেয়ার বাজারে শেয়ারের মূল্য কিছুটা কম থাকার কারণে অনেকেই শেয়ার কিনতে আগ্রহী হয়েছেন। বিশেষত বিদেশী লগ্নিকারিরা ভালোরকম বিনিয়োগ করেছেন। আর যে কারণেই ফের উঠে দাঁড়িয়েছে দেশের শেয়ার বাজার।
তবে এই উত্থান কতদিন হাসি ধরে রাখবে বিনিয়োগকারীদের মুখে? সেই নিয়ে এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছেন না বাজার বিশেষজ্ঞরা। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি দেখে তাঁরা মনে করছেন, এখনই শেয়ার বাজারের এই উত্থান নিয়ে বিশেষ মাতামাতি করার কোন কারণ নেই। কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বা বিশ্বব্যাপী মূল্যবৃদ্ধির মত সমস্যাগুলো থেকে এখনই রেহাই পাওয়া সম্ভব হয়নি। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কি পদক্ষেপ নিতে চলেছে তার উপরে নির্ভর করবে দেশের শেয়ার বাজারের উত্থান-পতন। আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।