Market
করোনা জ্বরে কাবু হয়েছে অর্থনীতি। কেন্দ্রের তরফ থেকে জ্বর কমানোর অনেক চেষ্টাই করা হয়েছে। কিন্তু জ্বর কমার কোন লক্ষণ দেখা যায়নি। বরং পেট্রোল-ডিজেল থেকে রান্নার গ্যাস সবই লক্ষণরেখা অতিক্রম করেছে। মানুষের হাতে জমছে কম, খরচ হচ্ছে বেশি। চাহিদার চাকা পাংচার্ড। ফলে ভারতের বাজারে যখন আশঙ্কার মেঘ কালো করে আসছে ঠিক তখনই আশঙ্কায় জল ঢেলে দিল কেন্দ্র। দেওয়া হল অর্থনীতির মুখ ঘুরিয়ে তাকানোর সুস্থ বার্তা।
কিন্তু ঠিক কী কী কারণে বিরোধীদের বক্তব্যের বিরোধীতা করে কেন্দ্র এতটাই কনফিডেন্ট? মোদির অর্থমন্ত্রক জানাচ্ছে, টিকাকরণ হয়েছে দ্রুততার সঙ্গে। ঘোষণা করা হয়েছে আর্থিক প্যাকেজ এবং ঋণনীতির প্রয়োগ হয়েছে নিখুঁত। আর এই তিনটি পদক্ষেপই কেন্দ্রের মাস্টারস্ট্রোক বলে দাবি করা হচ্ছে।
যদিও বিরোধীরা বলছেন, কেন্দ্র না শুনেছে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা আর না কানে নিয়েছে রঘুরাম রাজনের পরামর্শ। এরা দুজনেই চাহিদা বাড়ানোর জন্য আম জনতার হাতে নগদ জোগানের দাবি জানিয়েছিলেন। যদিও বাস্তবে দেখা গেল কেন্দ্র নিজের মতো করেই ঘুঁটি সাজিয়েছে। ৬.২৯ লক্ষ কোটি টাকার ঋণের প্যাকেজের বন্দোবস্ত করেছে কেন্দ্র।
কেন্দ্র মনে করছে, উৎপাদন ক্ষেত্রে আবারও আসছে জোয়ার। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন প্রকল্প চালু হয়েছে। এপ্রিল-মে মাসে কর আদায় হয়েছে ভালো রকম। সড়ক এবং রেলে লগ্নি অর্থনীতির চাকা আরো ভালোভাবে ঘোরাতে সাহায্য করেছে। এখন তাদের লক্ষ্য টিকাকরণের আরো গতি আনার। তাহলেই আরও চাঙ্গা হয়ে উঠবে বাজার।
ব্যুরো রিপোর্ট