একে হনুমানের উপদ্রব। তার উপর ঝাঁঝ বেড়েছে সর্ষের। তাই মুর্শিদাবাদের কৃষকরা সর্ষে চাষেই আগ্রহ দেখাচ্ছেন বেশি। গোটা জেলা জুড়েই দেখা যাচ্ছে সর্ষে বোনার হিড়িক।

বাজারে এখন পিঁয়াজের দাম কম। গত বছর এই সময় যেখানে পিঁয়াজের দাম ছিল কেজি প্রতি ১০০ টাকা। সেখানে এই বছর দুর্গা পুজো, কালী পুজো এমনকি ভাইফোঁটার পরেও বাজারে পিঁয়াজের দামে তেমন একটা হেরফের হয়নি। কেজি প্রতি ৪০-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে পিঁয়াজ। এদিকে পিঁয়াজের দামে যখন পাওয়া গেল খানিক স্বস্তি, তখন সর্ষের দামে কার্যত নাকের জলে চোখের জলে অবস্থা আমআদমির। আর সর্ষের তেলের দাম ক্রমশ বাড়তে থাকায় কৃষকরা তাই সর্ষে চাষেই মন দিয়েছেন। সবমিলিয়ে ভালো লাভের আশা করছেন তাঁরা।

সর্ষে চাষে বেশি করে উৎসাহ দিচ্ছে কৃষি দফতর। রাজ্যে সর্ষের তেলের ঘাটতি মেটাতে বিজ্ঞানসম্মত প্রযুক্তি ব্যবহার করে, একইসঙ্গে লাভের অঙ্ক বেশি পাওয়ার জন্য তাই রাই, সরিষা চাষ করার জন্যই পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি আধিকারিকরা।

সর্ষে চাষ করে বিঘা প্রতি প্রায় আড়াই থেকে তিন কুইন্টাল সর্ষে পাওয়া সম্ভব। বিঘা প্রতি সর্ষে বুনতে যেখানে ৪-৫ হাজার টাকা খরচ, সেখানে বিঘা প্রতি ১৫-২০ হাজার টাকা লাভ করতে পারবেন অনেকেই। কৃষকদের হেঁশেলের জন্য তো সর্ষের তেল লাগেই। তাই সব মিলিয়ে এখন মুর্শিদাবাদের কৃষকরা সর্ষে বোনার উপরেই ভরসা রেখেছেন। ঘরে-বাইরে ঝাঁঝ বাড়িয়ে সর্ষেই লাভের মুখ দেখাবে বেশি।

কুশল শরিফ
বহরমপুর