Daily
শীতকাল মানেই তো ফুলের মরশুম। রঙবেরঙের গাঁদা, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা আরও কত কত ফুল। হ্যাঁ গোটা বছরটাই নানন ফুলের চাষ হয়, ঠিকই। তবু ফুল চাষিরা কিন্তু এই শীতের সময়টুকুর জন্যই অপেক্ষা করেন। মূলত সমতলেই ফুলের চাষটা একটু বেশি হয়। কাজেই ফুলের জন্য উত্তরবঙ্গকে নির্ভর করতে হয় এই দক্ষিণবঙ্গের উপর। কিন্তু কি বলুন তো? বাইরে থেকে ফুল আসলে, তা একদিন আগে পাঠাতে হয়। ফলে প্রচুর ফুল পচে যায়। গরমকালে সমস্যাটা একটু বেশি হয়। আর বাইরে থেকে ফুল আনার কারণে খরচ বেশি হয়, তাই দামটাও বেশ চড়াই থাকে বাজারে। কিন্তু এত সমস্যার একটা পার্মানেন্ট সলিউশন তো চাই? সলিউশন একটাই। কাছাকাছি ফুলের চাষ করা।
দক্ষিনবঙ্গের উপর ফুলের নির্ভরতা কমিয়ে এখন শিলিগুড়িতেই ফুলের চাষ শুরু করেছেন বেশ কিছু ফুলচাষি। শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফাঁসিদেওয়া ব্লকে এখন জমিয়ে গাঁদা ফুল চাষ করছেন এলাকার প্রায় দেড়শ ফুল চাষি। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে তো উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার একটা পার্থক্য থাকে। তো আবহাওয়ার সঙ্গে জুঝে কীভাবে ফুল ফোটাচ্ছেন চাষিরা?
গাঁদা ফুল হচ্ছে এমন একটা ফুল, যেটা বছরের যেকোনো সময় পাওয়া যায়। যদিও এর ম্যাক্সিমামটাই চাষ হয় শীতকালেই। তো দক্ষিনবঙ্গের উপর ফুলের নির্ভরতা কমাতে কি কি ধরণের গাঁদা ফুল চাষ করছেন ফুল চাষিরা? আর সেই ফুলের সঠিক বাজারদরও কি পাচ্ছেন তারা? শুনে নেব।
যে জমিতে সবজি চাষ করতেন এখানকার স্থানীয় চাষিরা, সেই সমস্ত জমিতেই ফুল চাষ শুরু করেন তারা। আর ফুল থেকে যথেষ্ট পরিমাণ লাভের মুখ দেখায় এখন সবজি চাষ পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছেন তারা। বিস্তারিত শুনব, চাষিভাইয়ের মুখ থেকেই।
গত দু’বছর যাবত সব্জির জমিতে ফুলের এক্সপেরিমেন্টাল চাষ শুরু করেছেন স্থানীয় চাষিরা। এতে সবটা না হলেও দক্ষিনবঙ্গের উপর ফুলের নির্ভরতা কমেছে পাহাড়ের। ওদিকে লোকাল জমিতে চাষ হওয়ায়, ফুল পচনের ভয়টাও থাকছে না, আর দামটাও তুলনায় কম পড়ছে। টাই এবার সরকারি সাহায্যও পেলে বাণিজ্যিকভাবে এই ফুলের চাষ শুরু করতে চাইছেন এখানকার ফুল চাষিরা। আর বাণিজ্যিকভাবে ফুলের চাষ শুরু হলে লোকাল চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাইরেও ফুল পাঠাতে পারবেন তারা। ফলে আয়ও বাড়বে বলে প্রত্যাশা ফুল চাষিদের।
অরূপ পোদ্দার
শিলিগুড়ি