Daily
মালদা। বাংলার আমের ভ্যালি। দেশের বাজারে তো বটেই। বিদেশের বাজারেও এখানকার আম বেশ জনপ্রিয়। বিশ্ব বাজারে আম রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণ ব্যবসায়িক লেনদেন করেন এখানকার চাষিরা। তবে, গত কয়েক বছর ধরে আম রপ্তানিতে বিপরীত ছবি দেখছেন এখানকার আমচাষিরা।
কমছে আমের গুণগত মান। কাজেই লাভের পরিমাণ ঠেকেছে তলানিতে। তাই বিশ্ব বাজারে মালদার আমের জায়গা ধরে রাখতে এবং চাষিভাইদের আম চাষের গাইডেন্স দিতে রাজ্য সরকারের তরফে একটি ওয়ার্কশপের আয়োজন করে মালদা জেলার উদ্যানপালন দপ্তর।
অনেকসময়ই আম জমির মালিকেরা বেশি ফলন পেতে লিজে দিয়ে থাকেন তাদের জমি। আর আমের ফলন বাড়াতে এবং বেশি মুনাফার আশায় মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার করে থাকেন চাষিরা। সেক্ষেত্রে ফলন বাড়লেও, গুণগত মানে পিছিয়ে পরে বাংলার এই আম সাম্রাজ্যের আম। ফলে ব্যপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন চাষিভাইরা। তাই আমের গুণগত যাতে কোনভাবেই নিম্নমানের না হয়, সে বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করতেই সম্প্রতি এই আলচনাসভার আয়োজন করা হয়।
জেলা প্রশাসনের তরফে এই বিষয়ে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হলেও লাভের লাভ কিছু হচ্ছেনা বলেই দাবি করছেন স্থানীয় চাষিরা। আমের রক্ষণাবেক্ষণে থেকে যাচ্ছে ঘাটতি। এদিকের এই ওয়ার্কশপে, আমকে সঠিকভাবে বাজারজাত করার প্রক্রিয়াকরন নিয়ে থিওরিটিক্যাল বক্তব্য রাখলেও প্র্যাকটিক্যালি আম ব্যবসায় ক্ষতির অঙ্কটা কোনভাবেই পুষিয়ে নিতে পারছেন না আম চাষিরা।
চাষিদের সমস্যার সুরাহা করতে এদিনের এই ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয় মালদা জেলার ফুড প্রসেসিং দপ্তরে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ফুড প্রসেসিং ডাইরেক্টর বিকাশ সাহা, জেলা শাসক রাজর্ষি মিত্র, জেলার আমচাষীরা সহ অন্যান্যরা। মালদার আমের এই জগতজোড়া খ্যাতি ধরে রাখতে এদিনের এই ওয়ার্কশপ কতটা কার্যকরী হয়, এখন সেটাই দেখার।
বিক্রম লাহা