Daily

ইয়াস বিধ্বস্ত দিঘার হতশ্রী অবস্থা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনে অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। কিন্তু সেই সকল প্রশ্নের অভিমুখ কোনদিকে ছিল তাই নিয়েই রাজ্য রাজনীতিতে জলঘোলা হচ্ছে।
মমতার সাজানো বাগান দিঘা। ইয়াসের তান্ডবলীলা চলার পর আজ সেই সাজানো বাগান উধাও। একের পর এক পাথর উঠে গেছে সৈকতের রাস্তা থেকে। দিঘার এমন অবস্থা দেখে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তুললেন, তবে কি দিঘার ফাউন্ডেশনেই গলদ? আর গোড়ায় গলদ যদি থাকে তবে তার তদন্ত হওয়াও উচিৎ বলে মনে করছেন মমতা। তারপরেই প্রশ্ন উঠছে, তদন্ত হলে কার বিরুদ্ধে হবে?
উল্লেখ্য দিঘার শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী। যার গোটা পরিবারের সঙ্গেই এখন শাসক শিবিরের আদায় কাঁচকলা। সুতরাং দিঘার উন্নয়নে গাফিলতির তদন্ত করতে গিয়ে কি মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি অধিকারী পরিবারের দিকেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন? একইভাবে, সেচ দফতরের ভূমিকা নিয়েও তাঁর যাবতীয় প্রশ্ন আছে। সেচ দফতরের গাফিলতির কথাও তিনি বলেন। উল্লেখ্য, যে সময়ের কথা তিনি তুলেছেন, সেই সময় সেচমন্ত্রী ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যিনি পরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, দিঘার হতশ্রী অবস্থা এবং ব্রিজ তৈরি থেকে রক্ষণাবেক্ষণ এই সবকিছুর মধ্যেই কি তবে দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছেন মমতা? আর যদি তদন্ত শুরু হয় তবে কি প্রথমেই টার্গেট অধিকারী পরিবার এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়?
ব্যুরো রিপোর্ট