Market

কল্পতরু মমতা। বাজেট ঘোষণা করে তিনি জানালেন কথা দিয়ে কথা রাখাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ট্র্যাডিশন। শিক্ষা থেকে উচ্চশিক্ষা থেকে পঞ্চায়েত তারপর কর্মসংস্থান। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দরাজ হলেন।
এবারের বাজেটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবচেয়ে বেশি যে খাতে টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাখলেন, সেটি হল বিদ্যালয় শিক্ষা। ৩৫,১৭০.৬৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব দিলেন তিনি। বাদ রইল না উচ্চশিক্ষা। এই খাতেও ৫১৪৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল বাজেটে। এছাড়া আর কোন কোন খাতে টাকা বরাদ্দ করলেন, একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
•পর্যটনে বরাদ্দ করা হল ৪৫৭ কোটি টাকা।
•বিপর্যয় মোকাবিলায় ২১০৫ কোটি টাকা।
• সুন্দরবনের জন্য বরাদ্দ করা হল ৫৭৩ কোটি টাকা।
• স্বরাষ্ট্র এবং পার্বত্য বিষয়ক বিভাগে ঘোষণা করা হল ১১,৯৩৮ কোটি টাকা।
• পশ্চিমাঞ্চলের জন্য ৬৭২ কোটি টাকার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
• উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন বিভাগে ৭৭৬ কোটি টাকা প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
• ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পের জন্য ১১৪৪ কোটি টাকা ঘোষণা করা হল।
• শিল্প এবং শিল্পোদ্যোগে ১২৯১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল।
• শ্রম বিভাগের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১০৯৩ কোটি টাকা।
• উপজাতি শ্রেণি কল্যাণে প্রস্তাব রাখা হয়েছে ১০৬৮ কোটি টাকা।
• মহিলা এবং শিশু বিকাশে বরাদ্দ করা হল ১৬০৪৫ কোটি টাকা।
• সংখ্যালঘু এবং মাদ্রাসা বিভাগে ৪৭৭৭ কোটি টাকা প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
• অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণের জন্য ২১৭১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
• পুর ও নগরোন্নয়নে ১২৪৪৬ কোটি টাকা ঘোষণা করা হল।
• ভূমি এবং ভূমি সংস্কারে ১৭৩৭ কোটি টাকার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
• জনস্বাস্থ্য কারিগরি এবং পানীয় জলের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৩৫৭৯ কোটি টাকা।
• পরিবহনে বরাদ্দ ১৭৩৭ কোটি টাকা।
• বিদ্যালয় শিক্ষার জন্য বরাদ্দ ৩৫১৭০ কোটি টাকা।
• উচ্চশিক্ষার জন্য বরাদ্দ ৫১৪৩ কোটি টাকা।
• স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণে বরাদ্দ ১৬৩৬৮ কোটি টাকা।
• পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন বিভাগের জন্য বরাদ্দ ২৩৯৮৩ কোটি টাকা।
• কৃষি বিভাগের জন্য বরাদ্দ ৯১২৫ কোটি টাকা।
• খাদ্য এবং সরবরাহ বিভাগের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১২২৯৩ কোটি টাকা।
• তথ্য এবং সংস্কৃতি বিভাগের জন্য ৮০৪ কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে ১.৫ কোটি কর্মসংস্থান তৈরি করা হবে।
ব্যুরো রিপোর্ট