Daily
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের জেরে অকাল বর্ষণ। আর তাতেই চরম ক্ষতির মুখে বাংলার চাষিরা। আলু থেকে ধান, শাক সব্জি সবই আজ বৃষ্টিতে চাষিদের ক্ষতির মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। অকাল এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মাঠের ফসল যেমন মাঠেই পড়ে পড়ে মার খাচ্ছে। তেমনি মাঠের অধিকাংশ ধান গাছ শুয়ে রয়েছে মাটিতে। সব মিলিয়ে গোটা মেদিনীপুর জেলা জুড়েই চাষিদের ক্ষতির ছবিটাই যেন বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠছে। আর ঠিক এমনই সময় পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ী কিষাণমান্ডিতে সহায়ক মূল্যে চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু হয়েছে। যা কৃষকবন্ধুদের দুঃসময়ে অনেকটাই সাহায্য করবে।
সরকারের তরফ থেকে কৃষকবন্ধুদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সমস্যা অনেকটাই লাঘব হয়েছে। কিন্তু কৃষকদের একটি দাবি আছে। এক, যদি সরকারি তরফে চাষি পিছু ধানের পরিমাণ ক্যুইন্ট্যাল প্রতি বাড়ানো যায়। দুই, ক্যুইন্ট্যাল প্রতি যে ৬ কিলো বাটা সরকার নেন, সেটাও যদি সরকার মকুব করে দেন।
কৃষকবন্ধুরা কেশিয়াড়ী ব্লকের খাদ্য সরবরাহ দপ্তরের আধিকারিকের কাছেও তাঁদের এই দুরবস্থার কথা জানিয়েছেন। এই বিষয়ে আধিকারিক সৌম্যকান্তি দাস আশ্বাস দিয়েছেন বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হবে।
আমন ধানের পাকা ক্ষেত যেমন ক্ষতির মুখে পড়েছে তেমনি শীতের শুরুতে বোরো ধান চাষের জন্য বীজ ফেলেছিলেন তাঁরা। একদিকে যখন চিন্তার ভাঁজ ক্রমশই জমতে শুরু করে চাষিদের কপালে। ঠিক সেই সময় কিষাণমান্ডি থেকে সরকার ধান কিনতে শুরু করায় ক্ষতির বোঝা অনেকটাই কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সরকার যদি চাষিদের এই আবেদন মঞ্জুর করে নেয় তাহলে বিপদের সময় উপকৃত হবেন চাষিরাই। আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ধানচাষিরা।
প্রসূন ব্যানার্জী
পশ্চিম মেদিনীপুর