Daily
তৃতীয়বার রাজ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বসার পর এই প্রথম দলীয় বৈঠক ডাকলেন তৃণমূল ভবনে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্যকর করলেন এক নেতা এক পদ নীতি।
এমন একটা সময় তিনি এই বৈঠক ডাকলেন যখন রাজ্য করোনা ও ইয়াসের সাঁড়াশি আক্রমণে বিপর্যস্ত ও বিধ্বস্ত। এই আবহে দলনেত্রীর এদিনের বৈঠকের আলাদা তাৎপর্য রয়েছে বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
বিগত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি হবার পর দেশে বিজেপি বিরোধী আন্দোলনের প্রধান মুখ হিসেবে আলোচনায় উঠে এসেছে তৃণমূল নেত্রীর নাম। এই অবস্থায় দল ও সরকারের মধ্যে সমন্বয় রক্ষার উদ্দেশ্যে নেত্রী বেশকিছু সাংগঠনিক রদবদলও সারলেন এদিনের সভায়।
বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের অন্যতম মুখ ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের বৈঠকে তাকে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদে এনে নেত্রী অন্যান্য রাজ্যে দলের সংগঠন বিস্তারের ভার তুলে দিলেন যুবরাজের কাঁধে। এখন থেকেই সাজাতে শুরু করলেন ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের ঘুঁটি। অন্যান্য রাজ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সংগঠন যদি বিস্তার লাভ করে তাহলে বেশকিছু সংসদ আসন তৃণমূল নিজের ঝুলিতে ভরতে পারে। সেক্ষেত্রে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে একটা সর্বভারতীয় দলের তকমা পেতে মরিয়া এখন তৃণমূল কংগ্রেস।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বাঙালি প্রধানমন্ত্রীর দাবিতে যেভাবে নেটিজেনরা আওয়াজ তুলেছেন তা রীতিমতো ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। এই ট্রেন্ডকেই পাখির চোখ করে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে অভিষেকের নেতৃত্বের উপরে যে দল ভরসা রাখছেন আরো একবার পরিষ্কার হয়ে গেল এই দিনের বৈঠকে।
বেশ কয়েকটি জেলার সাংগঠনিক রদবদলের পাশাপাশি দলনেত্রী এবার দুর্নীতি আর তোলাবাজি থেকে দলকে যে দূরে রাখতে মরিয়া সে বার্তাও নেতাদের দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এখন নতুন দায়িত্ব পেয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কিভাবে জোড়া ফুলকে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিভিন্ন রাজ্যের জমিতে ফোটাতে পারবেন তার ওপরই নির্ভর করছে বাঙালির প্রধান মন্ত্রীত্বের দাবি।
ব্যুরো রিপোর্ট
বিজনেস প্রাইম নিউজ