Trending
স্পেন থেকে দিদি এবার সটান সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে। লক্ষ্য একটাই। বাংলায় আনতে হবে বিনিয়োগ। কর্মসংস্থানে আনতে হবে গতি। আর তাই ঠাসা কর্মসূচি সঙ্গে বাংলার প্রতিনিধিদল এবং বণিকমহল। মনে করা হচ্ছে, ইতিমধ্যেই স্পেনে যে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেরেছেন, সেটা স্বাভাবিকভাবেই বাংলায় বিনিয়োগ আনতে যথেষ্ট সাহায্য করবে। এবার লক্ষ্য দুবাই। সেখানেই বা কি বিষয়ে কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রী? তাহলে কি দিনের শেষে বাংলায় বিনিয়োগে গ্রিন সিগন্যাল পাওয়া গেল? আজকের প্রতিবেদন শুরু করা যাক এটা নিয়েই।
স্পেনে যাবার পথে প্রথমে দুবাই যেতে হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে যাবার সময় কোন কর্মসূচি না রাখলেও ফেরার পথে কিন্তু দুবাই-তে ঠাসা কর্মসূচি রেখেছেন দিদি। যা মতিগতি, তাতে স্পষ্ট বাংলায় এবার তিনি বিনিয়োগ আনবেনই। তাই তো দুবাই-তে বণিকমহলের সঙ্গে চলবে আলোচনা। তার মধ্যে প্রথমেই কোনটা রয়েছে? দুবাই-তে রয়েছে জাফজা মুক্তাঞ্চল এবং জেবেল আলী বন্দর। এই দুটি বন্দর মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল হিসেবে খ্যাত। তার মধ্যে জেবেল আলী বন্দর হচ্ছে গভীর সমুদ্র বন্দর। অন্যদিকে জাফজার মাধ্যমে বাণিজ্যিক যোগসূত্র রয়েছে এশিয়া, ইউরোপ এবং আফ্রিকার সঙ্গে। বিষয়টা হচ্ছে এই যে দুটো বন্দর, তার পরিকাঠামো সবটাই খুঁটিয়ে দেখবে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। কারণ? তাজপুরে তৈরি হচ্ছে বন্দর। তাজপুরে বন্দর তৈরি করতে গেলে আর কী কী আধুনিক পরিকাঠামোর প্রয়োজন পড়তে পারে, সেসবই খুঁটিয়ে দেখবেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, এছাড়াও রয়েছে শিল্পবৈঠক। আর মুখ্যমন্ত্রী আলাপচারিতা করবেন প্রবাসী বাঙালি এবং ভারতীয়দের সঙ্গে। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হবে লুলু গ্রুপের। এই লুলু গ্রুপ আসলে আরব আমিরশাহির খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি শিল্পগোষ্ঠী। যাদের বিনিয়োগ ভারতেও রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম কেরল। এছাড়াও বেশ কয়েকটি রাজ্যে তারা বিনিয়োগ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে হোটেল এবং রিয়েল এস্টেট সেক্টর। লখনউ-এর সর্ববৃহৎ শপিং মলটি নির্মাণ করেছে লুলু গ্রুপ। লুলু গ্রুপ বর্তমানে এক্সপোর্ট বিজনেস চালু করেছে। তাদের প্রধান দফতর রয়েছে আবু ধাবিতে। মনে করা হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক খুব পজিটিভ একটা সাড়া দিতে চলেছে।
বাংলায় বিনিয়োগ আসুক, এই লক্ষ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সফর করেছেন স্পেন এবং দুবাই। তার মধ্যে স্পেন সফরের অন্যতম কারণ যেমন বাংলায় লগ্নি, তেমনই বাংলার ফুটবলের উন্নতি। সেখানেই শিল্পবৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এখানেই মহারাজের রাজকীয় ঘোষণা আসে, বাংলায় তিনি দ্বিতীয় ইস্পাত কারখানা খুলতে চলেছেন। এই নিয়ে একটু বিরোধিতা, হাসাহাসি যে হয়নি, সেটা বলা ভুল। কারণ, স্পেনে গিয়ে বাংলার পুত্র বাংলায় বিনিয়োগের কথা বলছেন, এটা যেন কেমন কেমন ঠেকেছে। তবে বিনিয়োগ তিনি করছেন। কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থানও হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খানিকটা কনফিডেন্স নিয়েই বলেছেন, বাংলাই এখন গেম চেঞ্জার। তাই সবাইকে বাংলায় এসে বিনিয়োগ করার কথা তিনি জানিয়েছেন। রাজ্যের বণিকমহল মনে করছে, বাংলায় বিনিয়োগ আসবে। কারণ ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গিয়েছে গাড়ি ম্যানুফ্যাকচারিং, এনভায়রনমেন্ট, ট্যুরিজম, আইটির মতো খাতে। আশা করা হচ্ছে, স্পেনের সফর যেমন হিট তেমনই দুবাই-এর বাণিজ্য বৈঠকও হিট করবে। যদিও বাংলায় সেই বিনিয়োগ কবে আসবে আর কবে থেকে শুরু হবে কর্মযজ্ঞ, তার উত্তর দেবে সময়। আর আপনারা জানান মতামত আমাদের কমেন্ট বক্সে। সঙ্গে লাইক করুন, শেয়ার করুন। আর নতুন হলে সাবস্ক্রাইব করুন বিজনেস প্রাইম নিউজ।
জীবন হোক অর্থবহ