Trending
দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে ভারত-মালদ্বীপ সম্পর্ক। বারবার অপমানজনক মন্তব্যের জেরে মালদ্বীপ থেকে সেনা সরিয়েছে নয়া দিল্লি। যদি ভারত মালদ্বীপ সম্পর্ক নিয়ে নিজের অবস্থান আগেই স্পষ্ট করেছিলেন সেদেশের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। কিন্তু এবার ভিন্ন সুর শোনা গেল মালদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর গলায়। ঠিক কি কারণে ফের ভারতের ব্যাপারে সুর নরম করল মালদ্বীপ?
খোদ প্রেসিডেন্টের মুখে ভারত বিদ্বেষী কথা শোনার পরেও, কেন হঠাৎ গুনগান গাইতে শুরু করল মালদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রী?
তিনি মেনে নিলেন যে ভারতের তরফে তারা যে দুটি বিমান পেয়েছিলেন, তা অরানর ক্ষমতা তাদের নেই। আর মাথার উপর থেকে ভারতীয় সেনার হাত সরতেই সুর নরম করলেন মালদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এবার বোধ হয় তারা হারে হারে টের পাচ্ছে ভারতের গুরুত্ব।
প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে মালদ্বীপকে দুটো বিমান এবং হেলিকপ্টার দিয়েছিল ভারত। সেই বিমান চালানর ক্ষমতা যে তাদের নেই, সেকথা স্বীকার করেছে মালদ্বীপের সেনাবাহিনী। মালদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রি বলছে, ঐ বিমান শুধুমাত্র ভারতের সেনাবাহিনির পক্ষেই অরান সম্ভব। এদিকে মুইজ্জুর দেওয়া ডেডলাইন মেনে মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনাকে সরিয়ে নিয়েছ নয়া দিল্লি। আর তারপরেই মাথায় হাত পড়েছ মালদ্বিপের।
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য যে আগের সরকারের চুক্টি অনুযায়ী ভারতের দেওয়া বিমান অরানর প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছিল মালদ্বীপে। তবে সেই প্রক্রিয়া শুরু হলেও শেষ হয়নি। এদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনী ছাড়া সেই প্রশিক্ষণ শেষ করাও সম্ভব নয়। অন্যদিকে আবার মুইজ্জু সরকারের ডেডলাইন মেনে ১০ মে-র মধ্যে সেনাবাহিনির সমস্ত সদস্যকে মালদ্বীপ থেকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এখন কার্যত ফাঁদে পরে মালদ্বীপের নাকানিচোবানি অবস্থা।
এই পরিস্থিতিতে মালদ্বীপের মাটিতে এমন কোন পাইলট নেই যারা এই বিমান ওড়াতে সক্ষম। নিজেদের অক্ষমতা এখন হারে হারে টের পাচ্ছে মালদ্বীপ। আর যেকারনে ভারতীয় জাওয়ানদের সেখানে থাকতে না দিলেও ভারতীয় অসামরিক ভাইনিকে সেখানে থাকতে দিতে বাধ্য হচ্ছে মালদ্বীপ সরকার।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই জরুরী পরিস্থিতিতে মালদ্বীপের সরকার ভারতীয় বিমান ব্যবহার করতে অস্বীকার করেছিল। যার জেরে মৃত্যু ঘটে এক শিশুর। ফলে ভয়ানক চাপের মুখে পড়তে হয় মুইজ্জু সরকারকে। আর যেকারণে মালদ্বীপের মাটিতে ভারতীয় অসামরিক বাহিনীকে রাখতে বাধ্য তারা। তবে, এত কিছুর পরেও ভাংছেন কিন্তু নমনীয় হতে দেখা যাচ্ছে না চিনপন্থি মুইজ্জু সরকারকে।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ