Daily

ইনি শংকর মান্না। পেশায় মধ্য পঞ্চাশের এই গাড়ি মিস্ত্রি কোনোদিন নার্সিংহোমে ভর্তি হননি। কোনরকম অস্ত্রোপচারও করেননি। এখনও হাতে পাননি নিজের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। আর এখানেই রয়েছে সবথেকে বড় টুইস্ট।
গত তিন তারিখ শঙ্করবাবু হঠাৎই ফোনে মেসেজ পান তিনি ভর্তি রয়েছেন মেদিনীপুরের প্যারাডাইস নার্সিংহোমে। ঠিক তার পরেই চলতি মাসের ৫ তারিখে আবারও একটি মেসেজ আসে শঙ্করবাবুর মোবাইলে। সেটা অবশ্য, নার্সিংহোম থেকে যে তাকে ছাড়া হয়েছে, সেই মেসেজ। হঠাৎ এরকম মেসেজ পেয়ে রীতিমতো মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে গোটা পরিবারের। যাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা তিনি কি বলছেন শুনুন
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প স্বাস্থ্য সাথী। সেই প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত এই রাজ্যে উপকৃত হয়েছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। এমনকি ক্যাশলেস চিকিৎসার সুবিধা উপলব্ধ রয়েছে রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে ভেলোর পর্যন্ত।
সেই প্রকল্পে এমন ভুতুড়ে কান্ড ঘটায় রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেছেন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। যেমনটা শোনা গেল শংকর বাবুর ছেলের গলায়।
আর যে নার্সিংহোম এর বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ উঠল তারা কিন্তু অভিযোগের বল ঠেলে দিল সরকারের দিকে। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, হয়তো সরকারের দিক থেকেই ভুলচুক হয়ে থাকতে পারে।
শংকর মান্নার এই ঘটনায় রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। শঙ্করবাবু যথারীতি অভিযোগ জানিয়েছেন মহিষাদলের বিডিওর কাছে। শংকর বাবুর অভিযোগ প্রসঙ্গে মহিষাদলের বিডিও জানিয়েছেন, বিষয়টি যথাযথভাবে তদন্ত করে দেখা হবে।
যিনি এখনও পর্যন্ত স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হাতে পাননি, কি করে তার আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে রোগী ভর্তি হল নার্সিংহোমে? কি করেই বা শংকর বাবুর মোবাইলে আসে একের পর এক মেসেজ স্বাস্থ্যসাথী দপ্তর এর পক্ষ থেকে কিংবা নার্সিংহোম এর পক্ষ থেকে? এই প্রশ্ন থেকেই যায়।
তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই যে হৈচৈ শুরু হয়েছে সেই হৈচৈয়ের সমাধান এখন কোন পথে বেরিয়ে আসবে, সেটাই দেখার।
প্রসূন ব্যানার্জী
পূর্ব মেদিনীপুর