Trending

কাউন্টডাউন শুরু করে দিয়েছেন উমা। আজ যে শুক্লাপক্ষের নবমী তিথি। তাই চলতি ভাষায় আজ নবমী। একদিকে প্রচণ্ড ফেরার ব্যস্ততা। আর অন্যদিকে ভক্তদের মনে বিষণ্ণতা। রাত পেরোলেই যে দশমী। তাই ভক্তরা মনে মনে বলছেন এই রাত যেন শেষ না হয়। কিন্তু ভক্তরা এইসব ভাবলে বা চাইলে কি সব কিছু হবে? উমা নিজেও জানেন সবকিছু হয় তিথি, নক্ষত্র এবং সময় মেনে। বছরের পর বছর ধরে উমা তো এই রীতিই মেনে চলছেন। যাওয়া আসাও করছেন।
একদিকে স্নান হয়ে গেল। নতুন বস্ত্রযুগলে উমার সেকি রূপ। নয়নাভিরাম। চোখ যেন কিছুতেই সরেনা। এই নবমী তিথিতে উমার সামনে আমরা বলি দিই আমাদের আসুরিক প্রবৃত্তিকে। বলি, মাগো তুমি অন্তরের অসুরকে দমন করো। বিনাশ করো। জাগ্রত করো মনুষ্যত্বকে। জাগ্রত করো দেবত্বকে। তুমি তো দেবতা রূপে হাজির হও নি এই ধরাধামে। তুমি তো এসেছ বাড়ির মেয়ে হিসেবে বাপের বাড়িতে। নবমীর যজ্ঞে হবিষ্যান্নের পাশাপাশি ভক্তমন তো তোমাকে আজ যতনে বেড়ে দিয়েছে তোমারই ভোগের নানান ব্যঞ্জন।
তবে মর্ত্যে এবার এখনও বিষাদের ছায়া। মহিষাসুররা এখনো পুরোপুরি বিদায় নেয়নি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে। তার উপর করোনার সংক্রমণ। দেখো তোমার বাপের বাড়ির আত্মীয়রা আজ নিদারুণ দুর্দশায় ভুগছে। গত বছর তুমি যে এসে সেই নমিতা পিসিকে দেখেছিলে মণ্ডপে, দেখলে এবার নমিতা পিসিকে? দেখলে নাতো। তুমি তো জান, নমিতা পিসি করোনায় চলে গিয়েছে। নমিতা পিসির মত হাজারো পিসি তোমায় এবার না দেখেই চলে গেলো বেঘোরে। আর ঐ যে দেখছ সুদর্শন কাকা। গালে খোঁচা খোঁচা দাড়ি নিয়ে বসে আছে মণ্ডপের বাইরে। সুদর্শন কাকার কাজটাও চলে গিয়েছে করোনায়। পাড়ার ক্লাবের থেকে জামা দিলেও নুন আনতে পান্তা ফুরিয়ে যাচ্ছে সুদর্শন কাকার সংসারে। বলি, এবার এর একটা বিচার কর উমা। তোমার ত্রিশূলে তুমি বিদ্ধ কর করোনাকে। তার উপর মাঝেমাঝেই ঘূর্ণাবর্ত আর নিম্নচাপে বাপের বাড়ি লোকেদের যে নাজেহাল দশা উমা। এরও কিন্তু বিচার তোমাকে কৈলাসে যাবার আগেই করে দিয়ে যেতে হবে। এই বাপু দাবি জানিয়ে রাখলাম তোমার কাছে।
পৌলমী গঙ্গোপাধ্যায়
বিজনেস প্রাইম নিউজ