Daily
সামনেই পুজো। কাউন্টডাউন অন। আর দুর্গাপুজো ইস ইনকমপ্লিট উইদাউট পদ্মফুল। তাই পদ্মফুলের এখন হাই ডিম্যান্ড। মহাষ্টমীতে প্রতিটি পুজো মণ্ডপের চাই ১০৮ টা পদ্ম। কাজেই এই সময়টায় পদ্মের চাহিদা থাকে ব্যাপক পরিমাণে। আর চাহিদা যেমন, দামও তেমন। তাই পদ্মের চাহিদা মেটাতে গ্রাম বাংলার চাষিরা এখন পদ্ম চাষে ব্যস্ত।
পাঁশকুড়া, রামনগর, কোলাঘাট, নন্দকুমার, মাতঙ্গিনী, শহীদ সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে পুকুরে, খালে, বিলে ঝিলে তাই এখন পদ্ম চাষের ব্যস্ততা তুঙ্গে। টিনের তৈরি ছোট ছোট নৌকোয় চড়ে ফুল তুলছেন পদ্ম চাষিরা। আর সেই পদ্ম প্যাকিং হয়ে পৌঁছে যাচ্ছে লোকাল মার্কেটে। তারপর সেখান থেকে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে, এই বছর বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় তার প্রভাব পড়েছে পদ্ম চাষে।
গোটা বছর ধরেই পদ্ম চাষ করেন এখানকার পদ্ম চাষিরা। তবে সারাবছর পদ্মের দাম সেভাবে পান না। ওই ধরুন ২ টাকা কি ৫ টাকা দাম থাকে এই সময়। তাই পুজোর সময়ের জন্য চলে সংগ্রহ। দুটো বাড়তি পয়সা রোজগারের আশায় তাই কোল্ড স্টোরেজে সংগ্রহ করেন লাল, সাদা, গোলাপি পদ্ম। বছরভর যে পদ্ম বিক্রি হয় ২-৫ টাকায়, সেই পদ্মের দাম চড়ে ১০ থেকে ২৫ টাকা পার পিসে। কখনও আবার ৪০ টাকা পার পিসও দাম পান চাষি ভাইরা।
সবমিলিয়ে এখন পদ্ম ফুল সংগ্রহ করতেই ব্যস্ত কৃষকরা। কারণ সামনেই পুজোর বাজার। আর পুজোর বাজার মানেই এক্সট্রা ইনকাম। লাভের পরিমাণ ডবল। তাই মহাষ্টমীর বাজারকেই পাখির চোখ করেছেন বাংলার পদ্ম চাষিরা।
প্রসূন ব্যানার্জি
পূর্ব মেদিনীপুর