Agriculture news
অসময়ে বৃষ্টি। বারবার নিম্নচাপ। ছারখার করছে এবারের পদ্ম চাষ। পুজোর আগে আদৌ মিলবে তো পদ্ম ফুল?
১০৮টা পদ্মফুল ছাড়া কি আর দুর্গা পুজো হয়? জেলা, রাজ্য দেশ, বিদেশ- সর্বত্রই যারা পুজোর সময় পদ্ম ফুল সাপ্লাই করেন তাদের কাছে এটাই সবচেয়ে বড় চিন্তার যে, আদৌ কি পুজোয় মিলবে পদ্মফুল? মিললেও কত দাম থাকবে তার?
এইভাবে এগোলে শেষমেশ পদ্ম ফুলে পুজো সামলানোর কথা ভুলতে বসতে হবে সাধারণ মানুষকে। অবশ্য চাষিরাও নিরুপায়। দেখুন না, বৃষ্টির অভাবে কী অবস্থা হয়েছে পদ্ম বিলের।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাশকুঁড়া এবং কোলাঘাট- এরাজ্যের ফুলের আড়ত। কোলকাতার ফুলের হাট বা বিদেশের ফুল মার্কেটে যে ফুল দেখা যায়, তার ম্যাক্সিমামটাই এখান থেকে যায়। পুজোর আগে যেখানে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ততা থাকার কথা, এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে তারাই ছন্নছাড়া। সংকটে পদ্ম চাষ।
চাষে সংকট মানে জোগানে রাশ। ফল, মূল্যবৃদ্ধি। দাম বেশি হলে তো চাষিদের মুখে হাসি থাকার কথা। সেই হাসি নেই কেন? আষাঢ়ে বৃষ্টি হয়নি। আর এখন ভাদ্র পেরিয়ে আশ্বিন। বৃষ্টি এখন হচ্ছে। কিন্তু অসময়ের বৃষ্টিতে কুঁড়ি ঝড়ে পড়ছে। চাষিদের মুখে হাসি থাকবে কী করে?
একটাই অজুহাত, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা। অজুহাতই বটে। আচ্ছা, জলাশয়ের সংখ্যা কমছে কেন? সেটাও কী আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার জন্যই? আরও জলাশয় থাকলে হয়তো উৎপাদন আরও বেশি হত। যাই হোক! প্রশ্নটা থাকলো। পুজো মানে আনন্দ। সকলের আনন্দ। কিন্তু নিজেদের আনন্দের কারণে যদি অন্যের আনন্দ নষ্ট হয়, সেটা সবচেয়ে বড় সমস্যা। এখন পুজোয় পদ্মর পাঠ কতটা মেটে সেটাই দেখার।
প্রসূন ব্যানার্জি
পূর্ব মেদিনীপুর