Daily
অতিমারিতে কাজ চলে গিয়েছে বহু মানুষের। একদিকে যখন আয়ের পথ বন্ধ তখন পেট শুনতে চায়না কোন কথাই। পেটের টান যে বড় বালাই।
সমাজের সামগ্রিক অংশের সঙ্গে কাজ খুইয়ে কর্মহীন হয়েছেন ব্যারাকপুরের যৌনকর্মীরা। একদিকে অনাহার অন্যদিকে অনিশ্চিত আয় সব মিলিয়ে ব্যারাকপুর যৌনপল্লীতে এখন শুধুই নেইরাজ্যের হতাশা। লোকেশ্বরানন্দ আই ফাউন্ডেশন প্রথম দিন থেকেই বিভিন্ন পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে। হৃদয়পুর বারাসাত এর পর এবার ব্যারাকপুরের যৌনপল্লীতে খাবার নিয়ে হাজির হল লোকেশ্বরানন্দ আই ফাউন্ডেশন। যখন অনাহার ঐ পরিবারের ছোট ছোট শিশুগুলোর মুখ থেকে কেড়ে নিয়েছে সমস্ত আনন্দ, ঠিক সেই সময় লোকেশ্বরানন্দ আই ফাউন্ডেশন হাজির হল খাদ্য সামগ্রী নিয়ে।
ফাউন্ডেশনের সম্পাদিকা রঞ্জনা সেনগুপ্তর উদ্যোগে এবং বারাসাত সমন্বয়ের সহযোগিতায় একশোর বেশি পরিবারের মুখে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হল। লোকেশ্বরানন্দ আই ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে খাবার তুলে দেন আইএমএ রাজ্য শাখার যুগ্ম অর্থসচিব এবং কোভিড ম্যানেজমেন্ট প্রোটোকল মনিটরিং কমিটির উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কো-অর্ডিনেটর ডা. বিবর্তন সাহা। সঙ্গে ছিলেন বারাসাত সমন্বয়ের কর্ণধার প্রসন্ন বসু, রজত বিশ্বাস সহ একাধিক বিশিষ্টজন।
ডিম, কলা, আম সহ প্রায় ১০ রকমের খাদ্যদ্রব্যের প্যাকেট তুলে দিয়েছে লোকেশ্বরানন্দ আই ফাউন্ডেশন। আর সেই খাবার নিতে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়েছে অনাহার সয়ে আসা দরিদ্র পরিবারের শিশুরা। টিটাগড় তালপুকুরে নিষিদ্ধ পল্লীতে থাকা এদিন ১৫০টি খাবারের প্যাকেট তুলে দিল লোকেশ্বরানন্দ আই ফাউন্ডেশন।
এই ফাউন্ডেশন হৃদয়পুর রেল কলোনীতে ১০০টি, হৃদয়পুর অসহায় ভ্যানচালকদের ৬০টি এবং নিষিদ্ধ পল্লীর দুঃস্থ পরিবারদের ১৫০টি করে মোট ৩১০ টি প্যাকেট দিয়েছে গত এক সপ্তাহে। গোটা রাজ্যজুড়ে যখন মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে তখনই পাশে দাঁড়ানোর জন্য উদ্যোগ দেখিয়েছে লোকেশ্বরানন্দ আই ফাউন্ডেশন।
অঙ্কিত মুখার্জী, বারাসাত