Market
প্রদীপের নিচেই থাকে অন্ধকার। প্রবচনটিতে বোধহয় এবার ভাটা পড়তে চলেছে আসন্ন দীপাবলিতে। হাইকোর্টের নির্দেশে বাজি নিষিদ্ধ হওয়ায় রাজ্য জুড়ে বাড়ছে মাটির প্রদীপের চাহিদা। প্রদীপের চাহিদা বাড়তে থাকায় জোগান নিয়েই এখন চিন্তিত মৃৎশিল্পী থেকে দোকানদার সবাই। অন্যদিকে হাইকোর্টের নির্দেশে লোডশেডিং নেমে আসলো দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাজি ব্যবসায়। জেলায় বাজি ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িয়ে রয়েছে কয়েক লক্ষ মানুষের রুটি রুজি। একদিকে প্রদীপের নিচে অন্ধকার মিটলেও দীপাবলিতেই অন্ধকারে ডুবতে বসেছেন হাড়ালের বাজি ব্যবসায়ীরা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার হাড়ালের বাজি ব্যবসা বহুদিন ধরেই বাজি শিল্পে জ্বালানি দিয়ে থাকে। বারুইপুরের সাউথ গড়িয়া, চম্পাহাটি এবং বেগমপুর পঞ্চায়েতের প্রায় ১ লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। অন্যান্য বছর দীপাবলির আগে হাড়ালের বাজি বাজার গমগম করলেও এখন সেখানে ক্রেতার দেখাই পাওয়া যাচ্ছে না।
আর যারা বাজি প্রস্তুত করেন, বিক্রি না হওয়ায় তাঁদের ঘরেও নেমেছে লোডশেডিং। ফলে তাঁরাও আজ চরম ক্ষতির মুখে।
হাড়াল এলাকায় কুটির শিল্প হিসেবে বাজি ব্যবসা বেশ সুপরিচিত। অন্যান্য রাজ্যে বাজির ব্যবসাকে প্রশাসন সবুজ সিগন্যাল দিলেও বাংলার বাজি ব্যবসায়ীরা ব্রাত্যই থেকে গেলেন। তাই অর্থসংকট এবং অনিশ্চয়তাকে সঙ্গে নিয়েই এবারের দীপাবলি হাজির বাজি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত মানুষগুলোর ঘরে।
দীপান্বিতা দাস
দক্ষিণ ২৪ পরগনা