Daily
বাঙালির দরজায় কড়া নাড়ছে মায়ের আগমন। আর মাত্র কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। তাই জোর কদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে পুজো উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি পুজোর সাথে জড়িত বিভিন্ন কারিগরেরা। আর ঠিক এরকমই ব্যস্ততা চোখে পড়ল উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জে ব্লকের ভান্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন রাতন এলাকায় ডিজিটাল লাইট বোর্ড তৈরি করার কারিগরদের মধ্যে।
সচরাচর এইরকম লাইট বোর্ড চন্দননগরেই তৈরি হতে দেখা যায়। চাহিদা বেশি হওয়ায় সেখানে এর দামও আকাশ ছোঁয়া। তার তুলনায় ভাণ্ডার গ্রামের এই লাইট বোর্ডের দাম অনেকটা কম।
কোলকাতা এবং চন্দননগর থেকে এলইডি ল্যাম্প আর তারের মতো র-মেটারিয়াল কিনে নিয়ে গিয়ে সেখানে তারা এই বোর্ড প্রস্তুত করে। এবং প্রতিটি বোর্ড বানাতে তাদের আনুমানিক দুই থেকে আড়াই দিন সময় লাগে।
এবারের পুজোয় বেশ ভালোই অর্ডার পেয়েছেন বলে জানিয়েছে কারিগররা। কার্যত দিনরাত এক করে পরিশ্রম করে চলেছে তারা। গড়ে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা প্রতি বোর্ডে উপার্জন করেন তারা।
গত দুই বছর করোনা অতিমারির কারণে তেমন ব্যবসা হয়নি ডিজিটাল ইলেকট্রিক বোর্ড তৈরি যুক্ত কারিগরদের। কিন্তু এবছর কাজের চাপ অনেকটা বেশি, তাই একটু বেশি লাভের আশায় রাতদিন এক করে কাজ করে চলেছে তারা।
অনুপ জয়সোয়াল
উত্তর দিনাজপুর