Trending

চাঞ্চল্যকর গবেষণা নাসার বিজ্ঞানীদের। শনির একটি চাঁদ বা উপগ্রহ এনসেলাডাসে থাকতেই পারে প্রাণ। আর সেই সম্ভাবনা যেন বিজ্ঞানীদের গবেষণাকে অন্য মাত্রা দিয়েছে। নাসার মহাকাশযান ‘ক্যাসিনি’-র পাঠানো ছবি এবং তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রাণের অস্তিত্ব টিকে থাকার সম্ভাবনা আরও জোরালো হয়ে উঠছে নাসার বিজ্ঞানীদের মধ্যে। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা নেচার অ্যাস্ট্রোনমিতে সম্প্রতি এই গবেষণাপত্রই প্রকাশ পেয়েছে নাসার তরফ থেকে।
জানা গিয়েছে, শনির চাঁদটিকে প্রদক্ষিণ করার সময় এনসেলাডাসের পিঠ থেকে মিথেনের ফোয়ারা উঠতে দেখা যায়। আর সেই ফোয়ারা কোথা থেকে উঠে আসছে সেটাই ছিল বিজ্ঞানীদের যাবতীয় কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দু। বলা হচ্ছে, এনসেলাডাসে আন্টার্কটিকার চেয়েও পুরু বরফের আস্তরণ রয়েছে। বরফের নিচে রয়েছে অতলান্ত মহাসাগর। যা আকারে পৃথিবীর মহাসাগরের চেয়ে অনেকটাই বেশি।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, শনির চাঁদের পুরু বরফের আস্তরণের নিচে যে মহাসাগরগুলি রয়েছে সেখানেই রয়েছে তরল মিথেন। বলা হচ্ছে, এই মিথেনই অসংখ্য অণুজীবের অস্তিত্বকে প্রমাণ করে। যা থাকে মহাসাগরের তলদেশে।
তবে বিজ্ঞানীদের মিথেন নিয়ে আরেকটি ধারণাও রয়েছে। যেখানে বলা হচ্ছে এনসেলাডাসের মহাসাগরের তলদেশে বিশাল বিশাল ছিদ্রপথ রয়েছে। পৃথিবীতে যেমন হিম ঠান্ডা জলের অনেক তলায় ম্যাগমা থাকে। আর সেই ম্যাগমার তাপই উষ্ণ হয়ে এই ছিদ্র দিয়ে বেরোয়, শনির চাঁদের ক্ষেত্রেও তেমন হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
ব্যুরো রিপোর্ট