Trending

ঘটে পট বিসর্জনের সঙ্গে সঙ্গেই বিষাদের বিরাট বেদনা গ্রাস করে সবাইকে। অন্তত দশমীতে। উমা ফিরবেন কৈলাসে। মনে বিষাদ। বদন ভার। তবুও মিষ্টিমুখ করাতেই হয়। এটাই যে রেওয়াজ। বিজয়াতে তাই মিষ্টির টিআরপি থাকে সবার উপরে। না। এবার অন্তত একটু অন্যরকম মিষ্টি বিজয়াতে আসুক। বিজনেস প্রাইম খুঁজতে খুঁজতে পৌঁছে গেল গুপী গায়েন, বাঘা বায়েনের মত একেবারে মণ্ডার দেশে। বর্ধমানে।
বর্ধমানের মিষ্টি বললে প্রথমেই আসে সীতাভোগ, মিহিদানা আর অবশ্যই ল্যাংচার কথা। বর্ধমানে এসেছেন আর এই সব মিষ্টির স্বাদ নেন নি, এমন মিষ্টিপ্রেমীর সংখ্যা বিরল। নদীয়ার স্পেশ্যালিটি যেমন সরপুরিয়া, বর্ধমানের সীতাভোগ, মিহিদানা তেমনি আরেকটি মিষ্টি ইতিমধ্যেই বর্ধমানবাসীর মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে দিয়েছে। তার নাম মণ্ডা। কলকাতা থেকে তারাপীঠ বা বোলপুর যাওয়ার পথে দেখা মিলবে এই মণ্ডার। বড়চৌমাথায় দাঁড়ালেই আপনি দেখতে পাবেন এই মণ্ডা তৈরির রহস্য।
যারা তারাপীঠ বা বোলপুর যাবেন, মণ্ডার নাম শুনলে তাঁরা অন্তত একবার দাঁড়াবেন এই দোকানের সামনে। ল্যাংচা বা অন্যান্য মিষ্টি ছেড়ে দিয়ে খাবেন শুধুই মণ্ডা। তাই সীতাভোগ বা মিহিদানার মত মণ্ডাও যদি জিআই ট্যাগ পায় তাহলে খুব সুবিধে হয়। জানালেন, দোকান মালিক অর্পণ লাহা।
মণ্ডার জনপ্রিয়তা এতটাই ছড়িয়ে পড়েছে যে এখন দোকানের সামনে বহু ক্রেতা জড়ো হন শুধু মণ্ডা খাবার জন্য। ক্রেতাদের উচ্ছ্বাস দেখলে বোঝা যায় মণ্ডার চাহিদা এখন কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে।
বর্ধমানের বোলপুর রোডে বড় চৌমাথা এলাকায় একাধিক দোকান গড়ে উঠেছে এই মণ্ডায়। যেখানে বিভিন্ন স্বাদের বিভিন্ন আকৃতির মণ্ডা তৈরি হচ্ছে। ৫ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ টাকা মূল্যের মণ্ডা পাওয়া যায় এখানে। তারপর জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়তে খুব একটা বেশি সময় লাগছে না।
পত্রলেখা বসু চন্দ্র
পূর্ব বর্ধমান