Daily

সামনেই তো রাখী। শপিং done? আরেঃ এদিকে তো বাজারে থিক থিক করছে ভিড়। লেটেস্ট কালেকশনটা কালেক্ট করার জন্য। রাখীকে কেন্দ্র করে একটা বিশাল ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড চলে এই বাংলায়। সেই রাখী তৈরি থেকে বিক্রি, ক্রেতা বিক্রেতাদের বক্তব্য, সমস্তটা ক্যামেরাবন্দী করতে বিজনেস প্রাইম নিউজ পৌঁছে গিয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ।
কর্মব্যস্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়নার বলাইপণ্ডা। এখানকার বাসিন্দা নিমাই চাঁদ মাইতি গত আঠারো বছর ধরে রাখী তৈরির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। ট্রেণ্ডি ডিজাইন থেকে রঙিন সুতো, হাতের জাদুতে চোখ আটকে যেতে বাধ্য। নিমাই বাবু শুধু রাখী তৈরিই করেন না। নিজস্ব দোকানে পসরা সাজিয়েও বসেন। বিক্রিও হয় জমিয়ে। নতুন ডিজাইনের রাখী কিনতে নিমাই বাবুর দোকানে গেলে রীতিমত চোখ ধাঁদিয়ে যাবে আপনার।
শুধুমাত্র নিজেরই নয়, তার এই কাজের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ১৩০ জন কর্মচারীর রুটি রুজির বন্দোবস্তও করেন নিমাই বাবু। এখান থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা অবধি রোজগারও করেন তারা। মোটামুটি ৭-৮ মাস আগে থেকেই তুমুল ব্যস্ত থাকেন নিমাই বাবু এবং তার কর্মচারীরা। সামনেই রাখী। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। নাওয়া-খাওয়া বন্ধ করে মুখ গুঁজে কাজ করে চলেন তারা। এতটুকু ক্লান্তি নেই তাদের চোখে মুখে।
তার তৈরি রাখীর ডিজাইনের মধ্যে সবচেয়ে পপুলার হচ্ছে, বাচ্চাদের রাখী। মানে এই ধরুন কার্টুন, ছোটা ভীম এইসব। তবে, গত দুবছর করোনা অতিমারির কারণে ব্যবসায় ভাটা নামলেও, এবছর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক। ব্যবসা খানিক স্বাভাবিক হওয়ায় স্বস্তিতে নিমাই বাবু। ওহ! আপনাদের তো বলাই হয়নি। নিমাই বাবুর তৈরি এই রাখী পূর্ব মেদিনীপুরের সীমানা ছাড়িয়ে চলে যায় কলকাতা, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন জেলায়।
বাইটঃ নিমাই চাঁদ মাইতি, রাখী ব্যবসায়ী (০.৫৫-১.০৬)
দমবন্ধের দু’বছর থেকে ধীরে ধীরে সেরে উঠছে বাংলার ব্যবসা। এইবছর রাখী বিক্রির পরিমাণটাও বেশ ভালোই। কাজেই সবমিলিয়ে রাখী উৎসবটাও যে সকলের ভালো কাটবে, সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।
প্রসূন ব্যানার্জি
পূর্ব মেদিনীপুর