Daily
আমতা, খানাকুলের পর এবার মুর্শিদাবাদ। অতিভারি বৃষ্টিতে চারিদিকে শুধু জল আর জল মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। দেখুন জেলার সেই করুণ দৃশ্য বিজনেস প্রাইম নিউজের ক্যামেরায়।
মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা ব্লকের সুন্দরপুর অঞ্চলের সোনাভারুই, তারাপুর, কয়থা সহ বেশ কিছু গ্ৰাম প্লাবিত হয়েছে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, প্রবল বৃষ্টিতে ময়ূরাক্ষী ও কানা ময়ূরাক্ষীতে জলস্তর বাড়ার কারণেই নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। আর বড়ঞা ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় চরম কষ্টে দিন গুজরান করছেন এলাকাবাসী। রীতিমতো না খেয়েই দিন পেরোচ্ছে তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে কি দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা শুনে নেবো।
ইনি হলেন সুমিত্রা মাজি, যিনি মঙ্গলবার থেকে গৃহবন্দী ও কার্যত না খেয়েই দিন গুজরান করছেন। আসুন শুনে নেওয়া যাক তাঁর বক্তব্য।
বন্যায় ঘরে জল ঢুকে যাওয়ায় বাড়ি থেকে বেরোতে পারছেনা প্রচুর মানুষ। স্বাভাবিক ভাবেই খাবারের জোগাড় ছাড়াও পানীয় জলের সমস্যাতেও ভুগছেন এখানকার মানুষজন। সেই যন্ত্রণার কথা শুনে নিন দিপালির কাছে।
যদিও এলাকার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা জানালেন ইতিমধ্যেই ত্রাণের কাজ শুরু হয়ে গেছে।
অপরদিকে নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে খড়গ্রাম থানার বিস্তীর্ণ এলাকা। মঙ্গলবার দুপুরেই নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থানা এলাকার পারুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পলাশী, রানীনগর, গোপীনাথপুর, পিসিমা, দেবগ্রাম সহ প্রায় ১০টি গ্রাম। প্রবল বর্ষণে হঠাৎই দ্বারকা নদী দক্ষিণ দিক জলের চাপে ভেঙে পড়ে হু হু করে জল ঢুকতে শুরু করে। এই অবস্থায় যত দ্রুত সম্ভব বাঁধ মেরামতির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। কিভাবে শত চেষ্টার পরেও নিজেদের চাষের জমি ডুবে গেছে তারই করুণ কাহিনী বর্ণনা করলেন স্থানীয় বাসিন্দা বিমানচন্দ্র মণ্ডল। শুনে নিন তাঁর কথা।
বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে পড়ায় চাষের জমিতে যে বিশাল ক্ষতি হয়েছে তা তুলে ধরলেন এলাকারই বাসিন্দা স্বপন দাস।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন খরগ্রাম থানার ওসি কার্তিক মাঝি সহ বিরাট পুলিশের দল। আসেন খরগ্রাম ব্লকের বিডিও বাপি ধর।
একদিকে বর্ষার এই ভয়াবহ রূপ আর অন্যদিকে সাধারণ মানুষের হাহাকার। সবমিলিয়ে আজ শুধু যেন অসহায়তাকেই সঙ্গী করতে বাধ্য হল মুর্শিদাবাদের এই মানুষগুলি। যারা সব হারিয়েও বেঁচে থাকার জন্য দিন গুনছেন, কবে পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।
কুশল শরীফ, মুর্শিদাবাদ