Daily
দূর্গা পূজা শেষ মানেই যে বাঙ্গালীর উৎসব পর্ব শেষ এমনটা কিন্তু মোটেই না। বিজয়া দশমীর প্রায় পরের দিন থেকেই শুরু হয় বাঙ্গালীর অন্যতম আবেগ আপ্লুত উৎসব কোজাগরী লক্ষ্মী পূজোর কাউন্টডাউন। সেই সূত্রে হাতে আর মাত্র ২ দিন। আর লক্ষী পূজো ইস ইনকমপ্লিট উইথ আউট নাড়ু, মোয়া অ্যান্ড মুড়কি।তাই জোর কদমে নাড়ু আর মোয়ার মতো সামগ্রী প্রস্তুত করতে এখন ব্যস্ত উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার শান্তিকলোনির বাসিন্দা বিশ্বনাথ সাহা।
একসময় বাড়ির দিদা ঠাকুমারা তাদের নাতি পুতির সাথে বসে, উনুনে কাঠের আঁচে বেশ আয়েশ করে বানাতো এই ধরনের নাড়ু বা মোয়ার মত সামগ্রী গুলো। আর লক্ষ্মী ঠাকুরের চাইতেও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করত সেই নাতি পুতিরা যে কখন তৈরী হবে সেই নাড়ু। কালের দৌড়ে সেই দৃশ্যের দেখা আর মেলেনা বললেই চলে। ব্যস্ততা তো রয়েইছে, তার পাশাপাশি কজনই বা আর এমন আছে যারা এই ট্র্যাডিশনাল ফুড আইটেম গুলো বানাতে পারে? তাই বেশিরভাগ মানুষই এখন এইগুলি বাজার থেকে রেডিমেড কিনে নেন ।
বর্তমানে বিশ্বনাথবাবুর পরিবারের প্রত্যেকে মিলেই এই ব্যবসার সাথে নিজেকে যুক্ত করেছেন। স্বল্প লাভ হলেও, বর্তমানে তার সংসারটি চলছে এই ব্যবসার উপর ভিত্তি করেই।
নারকেল ছাড়া তো আর নারকেল নাড়ু বানানো সম্ভব নয়। ধনকুল হাট থেকে নারকেল সংগ্রহ করে নাড়ু বানিয়ে তারা আনুমানিক প্রতি প্যাকেট ১০ টাকা করে বিক্রি করে বাজারে।
হাতে আর সময় নেই । তাই জোর কদমে তারা লেগে পড়েছেন নাড়ু প্রস্তুত করতে। এখন এটাই দেখার যে এই নাড়ুর ব্যবসাতে তাদের সংসারে মা লক্ষ্মী কতটা সহায় হন।
অনুপ জয়সয়াল
উত্তর দিনাজপুর