Daily
বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এখন অগ্রহায়ণ মাস। আর এই সময় থেকেই বাংলার ঘরে ঘরে নবান্ন উৎসবের প্রস্তুতি প্রায় শুরু হয়ে যায় বললেই চলে। তবে শুধু নবান্ন উৎসবই নয়। বাংলার মায়েরা অগ্রহায়ণ মাসের পয়লা তারিখ থেকেই রীতিমত ব্যস্ত থাকেন প্রতি বৃহস্পতিবারের লক্ষ্মী গণেশ পুজো নিয়ে, যা পৌষ সংক্রান্তিতে গিয়ে শেষ হয়। আর এই পুজোকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত থাকে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের কুমোরপাড়া। আজ আমরা চলে এসেছি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার ঠেকুয়াচকের এই কুমোরপাড়ায়। শুনে নেব এই লক্ষ্মী পুজোর মাধ্যমে মৃৎশিল্পীদের ঘরে লক্ষ্মী আসার গল্প।
কুমোরপাড়ায় ব্যস্ততা রয়েছে চোখে পড়ার মতো। মূর্তির চাহিদা এতটাই বেশি যে, পরিবারের সকলে মিলে এখন এই মূর্তি গড়ার কাজই করছেন। কেউ ময়াম দিচ্ছেন মাটিতে, কেউ চাকা ঘুরিয়ে গড়ে তুলছেন মাটির মূর্তি, আর কেউ তুলির টানে ফিনিশিং দিচ্ছেন মাটির শিল্পকে।
বছরভর পুজোর অনান্য জিনিস তৈরির পাশাপাশি এইসময়টায় মেইনলি এই লক্ষ্মীগণেশের মূর্তি তৈরিতেই ব্যস্ত থাকেন এখানকার মৃৎশিল্পীরা। লাভ খুব বেশি না হলেও প্রচুর মূর্তি বিক্রি হয় এই সময়টায়। তাই শুধু এই চাহিদার উপর ভরসা করেই বাড়তি রোজগারের আশায় মূর্তি গড়েন মৃৎশিল্পীরা।
অগ্রহায়ণ মাসের এই লক্ষ্মী পুজোকে কেন্দ্র করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হাটে বাজারে মানুষের ব্যস্ততা তুলে ধরলাম আপনাদের জন্য। পাশাপাশি এই ঘরোয়া পুজোকে কেন্দ্র করে কুমোরপাড়া এবং জেলার হাটে বাজারের ব্যবসায়ীদের ঘরে লক্ষ্মী আসার গল্পও শুনলাম। সবটা মিলিয়ে অগ্রহায়ণ মাসের এই লক্ষ্মী গণেশ পুজোকে কেন্দ্র করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এক বিশাল ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের সাক্ষী থাকলাম আমরা।
প্রসূন ব্যানার্জি
পূর্ব মেদিনীপুর