Story
ফলের রাজা যদি আম হয়, তবে পেয়ারাকে ফলের রানি বলা যেতেই পারে। অন্তত জনপ্রিয়তার নিরিখে। বর্ষার এই মিষ্টি স্বাদের ফলটি পছন্দের তালিকায় নির্দ্বিধায় থাকতে পারে একেবারে উপরের সারিতে।
কিন্তু পেয়ারা বলতেই প্রথমে মনে আসে বারুইপুরের কথা। যেখান থেকে পেয়ারা মূলত ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে। তবে বর্তমানে বারুইপুর ছাড়াও পেয়ারা চাষ হচ্ছে বিভিন্ন প্রান্তে। আর সেই পেয়ারা রাজ্যের গন্ডি পেরিয়ে চলেও যাচ্ছে অন্যত্র। ফলে সারাবছর জোগান দিতে পারার জন্য লাভবান হচ্ছেন পেয়ারা চাষিরা। এই যেমন উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার বামিহাটি গ্রামের কৃষক তীর্থঙ্কর সরকার। যিনি গত আট বছর ধরে পেয়ারা চাষ করছেন। প্রথমে ৩ বিঘে জমিতে পেয়ারা চাষ শুরু করলেও বর্তমানে প্রায় ৩০ বিঘে জমিতে পেয়ারা ফলাচ্ছেন তিনি।
তবে পেয়ারা যেহেতু বর্ষার ফল, তাই সারাবছর এর জোগান পাওয়া একটু সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল তীর্থঙ্কর বাবুর কাছে। তারপরেই তিনি কথা বলেন কৃষি বিজ্ঞানীদের পরামর্শ মেনে শুরু করলেন ডাল টানা। আর তাতেই ম্যাজিকের মত কাজ হল। সারা বছর পেয়ারার ফলন আর আটকায় কে। কিন্তু কী এই ডাল টানা? শুনে নেওয়া যাক তীর্থঙ্করবাবুর মুখ থেকেই।
এখন ফলন বেশি হওয়ায় তাঁকে আর বাজারে যেতে হয়না। বর্তমানে তীর্থঙ্করবাবুর পেয়ারা পৌঁছে যায় অসম, শিলিগুড়ি, ওড়িশা থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায়।
কিন্তু কীভাবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বা ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে এই পেয়ারা সে সম্পর্কে জানা গেল পেয়ারা রপ্তানির আড়তে পৌঁছনোর পর।
বিভিন্ন জাতের পেয়ারা চাষ করা গেলেও তীর্থঙ্কর বাবু যে জাতের পেয়ারা চাষ করেন, দু’একদিন রেখে দিলেও সেই পেয়ারা একই থাকে। আবার স্বাদেও ভালো।
বাগান ভর্তি পেয়ারার ফলন। সারা বছর জোগান এবং লাভ। তীর্থঙ্কর বাবু পেয়ারা চাষে সফল। যা অন্যান্য কৃষকদের উৎসাহী করে তুলেছে পেয়ারা চাষে। যেমন শ্যামল ঘোষ।
পেয়ারা চাষের অন্যতম শত্রু ফল ছিদ্রকারী পোকা। তাই তীর্থঙ্কর বাবু ব্যবহার করছেন জৈব ট্যাবলেট। কীটনাশকের ব্যবহার না করলেও পোকার হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে পেয়ারা গাছকে। যেহেতু প্রথম বছরে পেয়ারার ফলন সেভাবে পাওয়া যায়না, তাই চাষি মনে করলে গাছের দূরত্ব বুঝে মিশ্র চাষও করতে পারেন। একসময়ে তীর্থঙ্কর বাবু সরকারি চাকরির চেষ্টা করেছেন পড়াশুনোর শেষে। কিন্তু সরকারি চাকরি তাঁর ভাগ্যে ছিলনা। অবশেষে কৃষি দফতরের পরামর্শ মেনেই শুরু হয় পেয়ারা চাষ।
দেবস্মিতা মন্ডল
উত্তর ২৪ পরগনা
Guava farming profitable for Habra’s farmer Tirthankar Sarkar. He started guava cultivation 8 yrs. back on his 3 bugha. Now he is farming on 30 bigha land. With the help of agri department he is now earning for the years.