Agriculture news
স্বাস্থ্য সচেতন হচ্ছে নতুন প্রজন্ম। তাই স্বাস্থ্যের ভিত্তিতে কৃষিকাজে মনযোগী হচ্ছে দেশ। এমন পরিস্থিতিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও আয়রন থাকায় বাড়ছে লাল ঢ্যাঁড়শ চাষের প্রবণতা। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেলে সমৃদ্ধ হওয়ায় বাজারে বেশ চাহিদাও রয়েছে। আর তাছাড়া ধরাবাঁধা সবুজ ঢ্যাঁড়শের বাইরে লাল রঙেরও যে ঢ্যাঁড়শ হয়, তা দেখে অবাক হচ্ছেন বাজারে আসা সাধারণ মানুষ। বাড়ছে চেখে দেখার ইচ্ছে।
ঢ্যাঁড়শ চাষের জন্য নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া খুব উপকারী। আর পশ্চিমবঙ্গে এমন চাষের জন্য উত্তরবঙ্গের চেয়ে ভালো জায়গা আর কী বা হতে পারে। শিলিগুড়ি শহর থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার ভিতরে গেলে পড়বে জোত এলাকা। যেখানে কৃষক অরুন সিংহ এই লাল ঢ্যাঁড়শ চাষ করে রীতিমত সাড়া ফেলে দিয়েছেন ওই এলাকায়। রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে কীভাবে এত পুষ্টিকর একটা ফসলের চাষ করা যায়, তার উদাহরণ তৈরি করেছেন শিলিগুড়ির এই কৃষক।
সুদূর কেরালা থেকে বাংলায় এসেছে ঢ্যাঁড়শের এই প্রজাতি। তাই বাজারে জায়গা করে নিতে একটু সময় লাগছে। কিন্তু এই চাষের ভবিষ্যৎ যে অনেক প্রশস্ত, সে বিষয়ে আশাবাদী বিশেষজ্ঞরা। কারণ স্বাদে এবং গুণে এর জুড়ি মেলা ভার। তাই এই ফসল যে বাজারে একটা সময় রীতিমত দাপিয়ে বেরাবে, সে বিষয়ে আশাবাদী কৃষি বিশেষজ্ঞরা এবং কৃষকেরা নিজেও।
মাত্র ৪০-৪৫ দিনের মাথাতেই ভালোরকম ফলন মিলছে এই চাষে। বাজারে নতুন তাই দামটাও ভালো মিলছে। এবং আবহাওয়া অনুকূল হওয়ায় ফলনও বেশ ভালো। স্বাদে এবং গুণে এই নতুন সবজি যে বাজারে আসা সাধারণ মানুষের মন জয় করবে তা বলাই যায়।
অরূপ পোদ্দার
শিলিগুড়ি