উপনির্বাচনের রেশ পুরোমাত্রায়। তার আগেই অস্বস্তিতে বিজেপি। অস্বস্তি তৈরি করেছেন মানিকতলার কল্যাণ। আর যিনি নিজে বিজেপিকে এই অস্বস্তির মধ্যে ফেলে দিয়েছেন তিনি তৃণমূলের কুণাল। অর্থাৎ কুণালের কল্যাণে মানিকতলায় বিজেপি শিবিরের পারদ চড়ছে। কল্যাণ চৌবে তিনি এই মুহূর্তে বিশেষ কিছুই বলতে পারছেন না। কারণ কুণাল ঘোষের একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস। সেটা তিনি গতকালই করে দিয়েছেন। তাহলে? আসলে কুণাল অডিও ক্লিপের একটা অংশ মাত্র ছেড়েছেন। তারপর কিছুটা সতর্ক করে দিয়েই বলেছেন, বেশি ট্যা-ফু করলে পুরোটাই সামনে এনে দেবেন। কল্যাণের বড় অকল্যাণ হয়ে যাবে তখন। আর এই পুরো ঘটনা কেন ঘটছে জানেন? কুণাল বলছেন, কল্যাণ চৌবে জানেন এবার মানিকতলার উপনির্বাচনে গো হারান হারতে চলেছে বিজেপি।

মানিকতলা উপনির্বাচনে বিজেপি শিবির খুব যে একটা সুবিধে করতে পারবে, এমনটা বলা যায় না। কারণ তৃণমূলের হয়ে যিনি দাঁড়িয়েছেন তিনি তৃণমূলের প্রাক্তন এবং প্রভাবশালী নেতা সাধন পাণ্ডের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডে। তৃণমূল বিশ্বাস করে সুপ্তি পাণ্ডের দিকেই মানুষের ভোটদান হবে কারণ সাধন পাণ্ডের স্ত্রী হিসেবে তিনি অনেকটাই নির্বাচনী লড়াই-এ ফ্রন্টফুটে থাকবেন। তৃণমূলকে হারানোর জন্য তাই মানিকতলার বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে নাকি কুণাল ঘোষকে ঘুষ দেবার অফার করেছেন। যাতে ভোটে বিজেপির একটু সুবিধে হয়। এই তথ্য দিয়েই একেবারে বিস্ফোরক দাবি করে বসেছেন কুণাল ঘোষ। কুণাল জানিয়েছেন, ৭ জুলাই নাকি রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ কুণাল ঘোষকে ফোন করে এই প্রস্তাব দিয়েছেন কল্যাণ চৌবে। তারপর ভোটের আগের দিন ৯ জুলাই মানে গতকাল সেই অডিও ক্লিপ ভাইরাল করেন কুণাল ঘোষ। যদিও সেই ক্লিপিং-এর সত্যতা যাচাই করেনি বিজনেস প্রাইম নিউজ। এরপর কুণাল জানিয়েছেন যে তাঁর কাছে এমন বেশ কিছু অডিও ক্লিপিং আছে, যা তিনি এখনো প্রকাশ্যে আনেন নি। কিন্তু প্রয়োজন পড়লে সেগুলো ভাইরাল করে দেবেন কুণাল ঘোষ। সঙ্গে এটাও বলেছেন যে, ভোটে বিরোধী দলের প্রার্থী সাহায্য প্রার্থনা করতেই পারেন। তিনি সম্পর্কে বিশ্বাসী। কিন্তু কল্যাণ যা করেছেন তা একপ্রকার নিজের দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা। বিজেপিকে সুবিধে পাইয়ে দেওয়া যা আসলে ঘুষ দেবার সামিল। এই বিষয়ে কুণাল ঘোষের বিস্ফোরক দাবি কী সেটা একবার শুনে নিন।

রাজনৈতিক ফায়দার জন্য কুণালের কাছে যে অফার গিয়েছে, কুণাল মনে করেন সেটা ঘুষের সামিল। তাই বিষয়টাকে প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, দয়া করে এই অডিও-তে যে ভয়েস শোনা যাচ্ছে সেটা যে কল্যাণের নয় এমন কোন দাবি যেন না করে বসেন। প্রয়োজনে কুণাল সিবিআই-এর সামনে পুরো রেকর্ডিং রেখে দিতেও পিছিয়ে যাবেন না। একই সঙ্গে তিনি কল্যাণকে নিচ মানসিকতার লোক বলেও আক্রমণ করেছেন কুণাল ঘোষ। শুনুন এবার সেই অডিও ক্লিপিং।

নির্বাচনে কে জিতবেন তা ঠিক করবেন জনগণ। সেখানে কোন দলের কোন পক্ষপাতিত্ব থাকা ঠিক নয়। যদিও এই অডিও ক্লিপিং-এর সত্যতা যাচাই করে নি বিজনেস প্রাইম নিউজ। তবে যা হয়েছে, এবং কুণাল ঘোষের যা দাবি সেটা কোনদিক থেকেই সুস্থ রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়। আপনারা কি মনে করেন জানেন কমেন্ট বক্সে।

বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ