Trending
রেখা পাত্রের সম্পত্তি যেখানে নৈব নৈব চ, কৃষ্ণনগরের রানিমার সম্পত্তি সেখানে ৫৫০ কোটি! একটি ধুলো আরেকটি পাহাড়। কৃষ্ণনগরের রানিমা বা অমৃতা রায় যাকে ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই রানিমা অর্থাৎ অমৃতা রায় বিজেপিতে যোগদান করেছেন এবং সেই নিয়ে হয়েছে বিস্তর জলঘোলা। সেই রানিমা জমা দিয়ে দিয়েছেন তাঁর মনোনয়নপত্র। তারপরেই উঠে আসছে কৃষ্ণনগরের রানিমার সম্পত্তির পরিমাণ। আর সেই পরিমাণের অঙ্কটা জানার পরেই কার্যত মাথা ঘুরে গেছে অনেকের। কারণ রানিমার জমা দেওয়া হলফনামা থেকে বোঝা যাচ্ছে, তাঁর নিজের খুব একটা সম্পত্তি না থাকলেও রানিমার স্বামী সৌমেষ চন্দ্র রায় যিনি কৃষ্ণনগর রাজপরিবারের সদস্য, তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৫৫০ কোটি টাকার বেশি। শুনেই বোঁ করে ঘুরে গেল তো মাথা! ঠিকই শুনেছেন। ডিটেলে বলছি এবার।
রানিমা যে হলফনামা জমা দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী রানিমার আয় দারুণ কিছু নয়। গত অর্থবর্ষে তিনি আয় করেছিলেন ২৯ হাজার টাকার আশেপাশে। আর রানিমার স্বামীর আয় ছিল ২ লক্ষ ৯১ হাজার টাকার আশেপাশে। রানিমার হাতে এই মুহূর্তে নগদ রয়েছে ৫০ হাজার টাকা মত। স্বামী সৌমেষ চন্দ্র রায়ের হাতে রয়েছে ৮৫ হাজার টাকা মত। আর অমৃতা রায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৭ লাখ ৩ হাজার টাকা মত। এবার আসি গয়নার কথায়। ভাবছেন, রাজবধূ তাই গয়নাও থাকবে বিস্তর। তবে সেটা একেবারেই নয়। হলফনামা মোতাবেক রানিমার কাছে গয়না রয়েছে ৪৫ গ্রাম। যার বর্তমান বাজারমূল্য ধরা হয়েছে আনুমানিক ৩ লাখের একটু বেশি। আর স্বামীর কাছে রয়েছে ৩০ গ্রাম মত সোনা। যার বাজারমূল্য ঐ ২ লাখ টাকা মত। কিন্তু এগুলো ছাড়াও যদি শুধু সম্পত্তির দিকটা দেখেন তাহলে কিন্তু চোখ আপনার কপালে উঠবেই।
হলফনামা বলছে, রানিমার স্বামীর নামে নদীয়ার প্লট রয়েছে ১৯টি। কলকাতায় রয়েছে ১ একরের বেশি জমি। আর সবমিলিয়ে যার মার্কেট ভ্যালু বর্তমানে ২৩৪ কোটি ৭৯ লক্ষ টাকা। আর এটা বাদ দিলে রইল কৃষ্ণনগরের রাজবাড়ি। তার বর্তমান বাজারমূল্য দাঁড়িয়ে আছে ৩১৯ কোটি ২৬ লক্ষ টাকায়। সবমিলিয়ে অঙ্কটা পৌঁছে যাচ্ছে ৫৫৪ কোটির কাছাকাছি। তবে কি জানেন তো? অমৃতাদেবী হলফনামায় যা জানিয়েছেন, তার অর্থ হল এই বিপুল টাকার মালিক তিনি নিজে নন। রানিমার নিজস্ব কোন স্থাবর সম্পত্তি নেই। শুধু চোখ কপালে উঠেছে রানিমার স্বামীর স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ দেখে, খেয়াল রাখবেন অঙ্কটা ৫৫০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ