Trending
আজকের দিনের মূলমন্ত্র- জো দিখতা হ্যায়, ওহি বিকতা হ্যায়। বই-এর ক্ষেত্রেও কি সেটা হওয়া উচিৎ? আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে পাঠকদের কাছে পৌঁছনোর জন্য লিখিয়েদের নিজেদের পরিচিত করানোটা অত্যন্ত জরুরি। আজকের জমানায় ব্র্যান্ড ফ্যাক্টর অনেকটাই কাজ করে- মানুষের কাছে সহজে পৌঁছে যাবার জন্য। কিন্তু বই-এর ক্ষেত্রে ব্র্যান্ড তৈরি? সেটা কি আদৌ সম্ভব? ব্র্যান্ড তৈরি করার দায়িত্বই বা কে নেবেন- প্রকাশক নাকি লেখক নিজে?
সোশ্যাল মিডিয়ার বাড়বাড়ন্তের কারণে আজ লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়াটা কোন ব্যপার নয়। দোরে দোরে ঘুরে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অজানা, অচেনা জিনিসের সঙ্গে পরিচিতি করানোর মত কায়িক পরিশ্রমের দিন শেষ। আজ ছোট্ট একটা ক্লিকেই এতো এতো মানুষের কাছে চলে যাওয়াটা একদিক থেকে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের মাহাত্ম্যকেই তুলে ধরে। লিখিয়েদের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয় না। সত্যিই তো, সোশ্যাল মিডিয়াতেই আজকাল অধিকাংশ মানুষের চোখ আটকে থাকে। সুতরাং, নতুন কিছু লেখা বা বই- যা অতীতে মানুষের সঙ্গে পরিচিতি ঘটাতে অনেকটা সময় লেগে যেত, সেখানে মাত্র কয়েক সেকেন্ড সময় লাগছে। সুতরাং প্রশ্নটা তোলা যেতেই পারে, যে, নতুন বই-এর সঙ্গে পাঠকদের পরিচয় করানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা কতটা থাকে। আদৌ কি সেটা নতুন ট্রেন্ড হিসেবে বই বাজারের স্টেবিলিটি টানা ধরে রাখতে পারছে?
বইমেলা পুরোনো হয় না। বছর বছর ধরে সেই চেনা গন্ধ ভেসে আসে কলকাতার আকাশে। লক্ষ লক্ষ মানুষের জমায়েত হয়। সময় পাল্টায়, মানুষের পড়ার অভ্যাস পাল্টায়। তবু বইমেলার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য কিছুই তো পাল্টায় না। তাই বইমেলা পুরোনো হয় না। কিন্তু একটা সময় যখন বইমেলার দিনগুলোয় পাঠক তার সবচেয়ে বড় উৎসবের দিনগুলো মাঠে, ময়দানে বইমেলা প্রাঙ্গণেই উদযাপন করত, আজও কি সেটা হয়? খাওয়া-দাওয়া, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, সেলফি সবই তো রইল। কিন্তু বই পড়ার অভ্যেস যে প্রতিদিন একটু একটু করে কমছে। তাহলে বইমেলার গুরুত্ব কি কমবে? আরও ১০ বছর পর বইমেলার কৌলীন্য কি সেই একইভাবে বজায় থাকবে আজকের মতন?