Daily

শুধুই কি সিগন্যাল বিভ্রাট নাকি, অন্য কোন কারণ? কি কারণে বীভৎস দুর্ঘটনার কবলে ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস? আমরা নজর রাখবো এই মুহূর্তের সবথেকে বড়ো খবরে।
এই মুহূর্তের সবথেকে বড় খবর। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আরও এক ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার কবলে শিয়ালদাগামী ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। মালগাড়ির ধাক্কায় একেবারে দুমড়ে মুচড়ে গেল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুই কামরা। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন ছাড়তেই দুর্ঘটনার মুখোমুখি কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ। আহত ২৫। এখনও পর্যন্ত মৃত বেড়ে ৮। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সাতসকালে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা। ফিরল করমন্ডল এক্সপ্রেসের গা শিউড়ে ওঠা স্মৃতি। দুর্ঘটনার কবলে শিয়ালদামুখী ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। সিগন্যাল না পেয়ে ট্র্যাকে দাঁড়িয়ে ছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। আচমকাই পিছন থেকে চলে আসে মালগাড়ী। মালগাড়ীর ধাক্কায় একেবারে দুমড়ে গিয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের শেষের দুই বগি। লাইনচ্যুত হয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ দুটি বগি। আকাশের দিকে উঠে যায় একটি কামড়া। প্রশ্নের মুখে রেলের উদাসীনতা। কীভাবে এক লাইনে দুটি ট্রেন চলে আসে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে রাঙ্গাপানি স্টেশনে ঢোকার মুখেই হাড়হিম করা দুর্ঘটনা। উদ্ধারকার্যে ঝাঁপিয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। শূন্যে ঝুলছে পার্সেল ভ্যান। কামরা থেকে ভেসে আসছে আর্তনাদ। দেখুন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের সেই বীভৎসতা।
রেলের তরফে জানান হয়েছে, সিগন্যালিং-এর সমস্যার কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। সিগন্যাল ফেল করে এগিয়ে আসে মালগাড়িটি। ধাক্কা লাগার সময় মালগাড়ীর স্পিড এতটাই বেশি ছিল যে, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পার্সেল কামরা মালগাড়ীর ইঞ্জিনের উপর উঠে যায়। কামরা থেকে ভেসে আসতে থাকে আর্তনাদ। যা কিনা উস্কে দেয় করমন্ডল এক্সপ্রেসের সেই ভয়াবহতা। তবে কেন সিগন্যাল ব্রেক করে কীভাবে এগিয়ে এল মালগাড়িটি? উঠছে প্রশ্ন। এই মুহূর্তে দিল্লির কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত রয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
দুর্ঘটনায় মালগাড়ির চালক এবং অ্যাসিসট্যান্ট লোকো পাইলটের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ডের। সার্বিকভাবে রেলের তিনজন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। পাঁচজন যাত্রী মারা গিয়েছেন। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার দায় মালগাড়ীর চালকের উপরেই চাপালেন রেলওয়ে বোর্ডের সিইও জয়া বর্মা। যদিও পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পরে পুরো বিষয়টি বোঝা যাবে।
দুর্ঘটনাগ্রস্থ ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ। মালগাড়ির ধাক্কায় হাওয়ায় ভাসছে ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুটি বগি। মালগাড়ীর ইঞ্জিনের উপরে উঠে গিয়েছে কাঞ্চঞ্জঙ্ঘার পার্সেল বগি। কাম্রার নীচে মালগাড়ীর ইঞ্জিন। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে উদ্ধারকারী দল। ঝাঁপিয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। এদিকে উত্তরবঙ্গে আবহাওয়া খানিক খারাপ থাকার কারণে কিছুটা দেরী হলেই জোরকদমে চলছে উদ্ধারকার্য। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে খবর।
এদিকে রেলে আটকে থাকা যাত্রীদের দ্রুত ঘরে ফেরানর জন্য পুরদস্তুর প্রস্তুর রেল, এবং প্রশাসন। বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করেছে এনবিএসটিসি। কোলকাতার উদ্দেশ্যে বাড়ানো হয়েছে বাসের ব্যবস্থা। আহত এবং আটকে থাক যাত্রীদের বাড়ি ফেরাতেই এই বিশেষ উদ্যোগ। স্পেশ্যাল কী বাসের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানাচ্ছেন এনবিএসটিসি-র চেয়ারম্যান, শুনুন।
চোখ রাখবো এইমুহূর্তের সবথেকে বড়ো খবরের দিকে। সাতসকালেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কবলে ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। উত্তরবঙ্গেই আচমকা বীভৎস অ্যাক্সিডেন্ট। আর তারপরেই লণ্ডভণ্ড গাড়ির কামরা। সিগন্যাল ব্রেক করে একটি মালগাড়ী। আর সেই মালগাড়ীর ধাক্কাতেই তছনছ সমস্তটা। জলপাইগুড়ি স্টেশন ছেড়ে বেরোতেই নৃশংস দুর্ঘটনার কবলে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। যা উস্কে দিল গত জুনের বালাসোরে করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার স্মৃতি। আটকে থাকা মানুষজনকে দ্রুত ঘরে ফেরাতে স্পেশ্যা বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
তবে একই লাইনে কীভাবে দুটি ট্রেন চলে আসল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠছে রেলের উদাসীনতা নিয়ে। যদিও রেলওয়ে বোর্ডের সিইও জয়া বর্মা জানিয়েছেন যে, মালগাড়ির চালকের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রসঙ্গত, মালগাড়ির চালক এই দুর্ঘটনায় মারাগিয়েছে। মারা গিয়েছেন ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ড সহ আরও ৮। রেলওয়ে বোর্ডের সিইও জয়া বর্মা জানিয়েছেন, ঐ লাইনে কবচ সিস্টেম চালু করা নেই। শীঘ্রই সেই কবচ সিস্টেম চালু করার কথা জানিয়েছেন তিনি। তবে ঘটনার পূর্ণ তদন্তের পরেই দুর্ঘটনার আসল কারণ জানা যাবে বলে বলে করা হচ্ছে।
বিজনেস প্রাইম নিউজ। জীবন হোক অর্থবহ।